নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানাতে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুম্বইয়ে আসছেন দলে দলে মানুষ। তাঁরা একত্রিতভাবে দিল্লিতে চলা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানানোর পরিকল্পনা করেছেন। গতকাল মহারাষ্ট্রের ২১টি জেলা থেকে এসে নাসিকে জমায়েত হন কৃষকরা। এরপর তাঁরা ১৮০ কিলোমিটার হেঁটে মুম্বইয়ে যাওয়ার কথা জানান। তাঁরা সেই যাত্রা শুরু করেছেন। অনেকের হাতেই পতাকা, ব্যানার রয়েছে। ‘সংযুক্ত শেতকারী কামগর মোর্চা’ কৃষকদের এই আন্দোলন আয়োজন করেছে। অন্যান্য সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলিও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

গতকাল নাসিকের গলফ ক্লাব ময়দানে জড়ো হন প্রায় ১৫ হাজার কৃষক। সেখান থেকে তাঁরা ইগতপুরীর কাছে ঘটনদেবী অঞ্চলে যান। আজ তাঁরা মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কৃষকদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা, বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি ও বাম দলগুলি।

সংযুক্ত শেতকারী কামগর মোর্চার আহ্বায়ক অশোক ধাওয়ালে জানিয়েছেন, ‘আমরা আজাদ ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করব। আগামীকাল আমরা মিছিল করে রাজভবনে যাব। শরদ পওয়ার, আদিত্য ঠাকরে, বালাসাহেব থোরাটের মতো রাজনৈতিক নেতারা আমাদের এই মিছিলে যোগ দেবেন।’

পওয়ার এর আগে একাধিকবার কৃষকদের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় যে কৃষকরা গত নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন, তাঁদের দাবি যদি কেন্দ্রীয় সরকার মেনে না নেয়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। কৃষকদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয় কেন্দ্রের।’

এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর নিয়ে মিছিল করার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে দিল্লি পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। এই মিছিলে এক হাজারেরও বেশি ট্রাক্টর থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের কয়েক হাজার গত ২৮ নভেম্বর থেকে নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের সংগঠনগুলির আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু কৃষকরা নতুন ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড়। তাঁরা অন্য কোনও প্রস্তাব মানতে নারাজ। কেন্দ্র সুর নরম করলেও, কৃষকরা তাঁদের দাবি থেকে সরে আসছেন না।