LIVE UPDATE:‘কেন্দ্রের প্যাকেজ আদতে অশ্বডিম্ব, রাজ্যগুলিকে কিছুই দেয়নি কেন্দ্র', দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ৪ বছরের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ। লাগবে না গ্যারান্টি ফি। ১ বছরের জন্য সুদ স্থগিত। উপকৃত হবে ৪৫ লক্ষ ইউনিট।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 13 May 2020 10:04 PM
‘প্যাকেজ নিয়ে টোটালটাই বিগ জিরো, ভেবেছিলাম রাজ্যগুলি কিছু পাবে। কেন্দ্রের প্যাকেজ আদতে অশ্বডিম্ব’, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
‘রাজ্যের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র, লকডাউনের নামে রাজ্যগুলিকে লকআউট’: মমতা

‘প্যাকেজ নিয়ে টোটালটাই বিগ জিরো, ভেবেছিলাম রাজ্যগুলি কিছু পাবে। কেন্দ্রের প্যাকেজ আদতে অশ্বডিম্ব। রাজ্যগুলিকে কিছুই দেয়নি কেন্দ্র। বিপদে পড়া মানুষকে নগদ দেওয়া হল না। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপ নেই। কর্মসংস্থানের কথাও বলা হল না। করোনা মোকাবিলার বরাদ্দ কোথায়? বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৯০ হাজার কোটি। ৯০ হাজার কোটি আগেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্যাকেজ আইওয়াশ। দুর্ভোগের সময় মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। কেন কৃষিঋণ মকুব করা হল না। বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বৃদ্ধি প্রত্যাশিত। টাকা নেই, রাজ্যগুলি চলবে কী করে?’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘২০ লক্ষ কোটির মধ্যে আগেই দেওয়া ১০ লক্ষ কোটি।২০ লক্ষ কোটি নয়, আসলে ৪.২ লক্ষ কোটির প্যাকেজ। জিডিপির ১০% নয়, এই বরাদ্দ ২%। কেন্দ্রের প্যাকেজ ঘিরে বিভ্রান্তি’, দাবি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের।
নির্মলা সীতারমণের সাংবাদিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে তাঁর প্রশংসা করেন। লেখেন অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাগুলি অর্থনেতিক উন্নতিতে সাহায্য করবে।
LIVE দেখুন ইউটিউবে -
৩১ মার্চ পর্যন্ত টিডিএসে ২৫% কম কাটা হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আইটি রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
এনপিএ-র আওতায় থাকা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকেও দেওয়া হবে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। ঋণগ্রস্ত শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি। উপকৃত হবে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প।
অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘কাজ শেষের জন্য সরকারি ঠিকাদারদের আরও ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।’
রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে যে সব প্রকল্প চলছে, সেগুলির মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক একটা নির্দেশিকা পাঠাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে । ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির টাকাও কিছুটা ফেরত দেওয়া হবে। পাবলিক-প্রাইভেট সংস্থার ঠিকাদারির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে
এনবিএফসি-র জন্য ৩০ হাজার কোটির প্রকল্প ঘোষণা
অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘এর ফলে হাতে বেশি বেতন পাবেন ইপিএফ গ্রাহকরা। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% ইপিএফ কাটা হবে। ১৫ হাজারের থেকে কম বেতনের কর্মীর ইপিএফ ৩ মাস দেবে সরকার’
ইপিএফ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা,

‘বেসরকারি কর্মীর বেতন থেকে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। ১২% নয়, ৩ মাস ধরে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% পিএফ কাটা হবে।
এমএসএমইগুলির সংজ্ঞা সংশোধন করা হয়েছে, বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা পরিবর্তিত হয়েছে, টার্নওভারের মানদণ্ডেও পরিবর্তন হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানালেন, ‘২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্লোবাল টেন্ডার নয়। বিদেশি সংস্থার জায়গায় দেশি সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। এর ফলে দেশের ছোট ছোট সংস্থা অংশ নিতে পারবে। ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে মাইক্রো ইউনিট। ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ হলে মাইক্রো ইউনিট।
অর্থমন্ত্রী জানালেন, এনপিএ আওতায় পড়া ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকেও ঋণ। ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। এর ফলে উপকৃত হবে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প। ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ। ব্যবসা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
‘অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পকেও ঋণ। ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। এর ফলে উপকৃত হবে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প’, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
নির্মলা সীতারমণ জানালেন,৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য । মোট ১৫টি পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৬টি পদক্ষেপ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র ক্ষেত্রের জন্য। করদাতাদের কর দেওয়ার পদ্ধতি অনেক সরল করা হয়েছে । দেশের গরিব মানুষদের জন্য যথাসাধ্য করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি, শিল্প-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রে বিপুল সংস্কার হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক মিত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন। সেই টাকা আনতে ব্যাঙ্কে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের সময় তার সুফল ভোগ করছে মানুষ।
নির্মলা সীতারমণ জানালেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বাজেটের পরই করোনার প্রকোপ শুরু। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের জন্য ৩ লাখ কোটি টাকা। ৪ বছরের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ঋণ। এই ঋণে ১ বছরের জন্য সুদ স্থগিত থাকবে। ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইউনিট উপকৃত হবে’
অনুরাগ ঠাকুর বলেন,
‘বহু দেশে ওষুধ-সহ চিকিৎ‍সা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। ভারত আত্মনির্ভর না হওয়া পর্যন্ত সংস্কার চলবে’
অর্থমন্ত্রী বৈঠক শুরুতে বলেন,
‘দেশের বিকাশের লক্ষ্যেই এই প্যাকেজ। আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ৫টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে প্যাকেজ। সমাজের সর্বস্তরে বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্র্যান্ড করাই সরকারের লক্ষ্য। ‘৪০ দিনে দেশেই পিপিই, মাস্ক, ভেন্টিলেটরের উৎ‍পাদন’
আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। সংস্কারের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপগুলি সফল হয়েছে। গরিবদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। সরাসরি ব্যাঙ্কে ভর্তুকি লকডাউনে সুফল দিয়েছে। '

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে চতুর্থ দফার লকডাউন এবং ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশাল আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সঙ্গে জড়িত প্যাকেজ সম্পর্কে বিশদে জানাবেন।


 


মোদি বলেন, এই প্যাকেজ ভারতের জিডিপির প্রায় দশ শতাংশ। ২০ লক্ষ কোটি টাকার এই প্যাকেজ ২০২০-তে দেশের উন্নতির যাত্রাকে নতুন গতি দেবে। এই প্যাকেজে জমি, শ্রমিক, লিকুইডিটি, ল’ সব ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে।


 


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্যাকেজ কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। যারা আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তি। এই আর্থিক প্যাকেজ দেশের সেই শ্রমিকের জন্য, সেই কৃষকের জন্য, যারা সব মরসুমে দেশবাসীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। এই আর্থিক প্যাকেজ মধ্যবিত্তের জন্য, যারা কর দেয়। এই প্যাকেজ ভারতীয় শিল্পের জন্য।


 


বুধবার, ওই প্যাকেজের ব্রেক-আপ তথা কোন কোন খাতে কত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, তা বিশদে জানাবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আজ বিকেল ৪টে নাগাদ এই বিষয়ে ঘোষণা করবেন সীতারমণ। এদিন সকালেই, ট্যুইট করে সে কথা জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।


 


তার আগে, এদিন দুপুরে নির্মলার বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পিএমও-র অফিসাররা। স্থির হয়েছে, ৩ দিন ধরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্যাকেজের ব্যাখ্যা। আজ গরিবদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করবেন নির্মলা। কাল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা। শুক্রবার কর্পোরেট ক্ষেত্রের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা।






 



প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান বহু নেতা। তাঁদের মতে, এই বরাদ্দ দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে সাহায্য করবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, এই বিশাল আর্থিক প্যাকেজ যুবসমাজ ও কৃষক সমেত সমাজের বিভিন্ন স্তরকে বহুমূল্য সহায়তা প্রদান করবে। তিনি ট্যুইট করে সেই কথা জানান।


 


গতকালের ভাষণে স্বনির্ভবতারও কথা ঘোষণা করেন। বলেন, আজ বিশ্বে আত্মনির্ভরতার সংজ্ঞা বদলেছে। বিশ্বের সামনে ভারতের পরিস্থিতি আশার আলো দেখাচ্ছে। ভারত যখন আত্মনির্ভরতার কথা বলে, তখন আত্মকেন্দ্রিক ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করে না। ভারতের আত্মনির্ভরতায় সংসারের সুখ, সহযোগ এবং শান্তির চিন্তা থাকে। ভারতের উন্নতিতে বিশ্বের উন্নতি নিহিত রয়েছে। ভারতের কাজের প্রভাব বিশ্বকল্যাণে পড়ে।






 



একইসঙ্গে, তিনি শক্তিশালী দেশীয় পরিকাঠামোর কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ভারতের ওষুধ আজ নতুন আশা দেখাচ্ছে। সারা বিশ্বে ভারতের প্রশংসা হচ্ছে। ভারতীয়রা গর্বিত। পৃথিবী বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, ভারত অনেক উন্নতি করতে পারে। মানবকল্যাণে অনেক কিছু দিতে পারে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.