LIVE UPDATE:‘কেন্দ্রের প্যাকেজ আদতে অশ্বডিম্ব, রাজ্যগুলিকে কিছুই দেয়নি কেন্দ্র', দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৬টি পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ৪ বছরের জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ। লাগবে না গ্যারান্টি ফি। ১ বছরের জন্য সুদ স্থগিত। উপকৃত হবে ৪৫ লক্ষ ইউনিট।
‘প্যাকেজ নিয়ে টোটালটাই বিগ জিরো, ভেবেছিলাম রাজ্যগুলি কিছু পাবে। কেন্দ্রের প্যাকেজ আদতে অশ্বডিম্ব। রাজ্যগুলিকে কিছুই দেয়নি কেন্দ্র। বিপদে পড়া মানুষকে নগদ দেওয়া হল না। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে কোনও পদক্ষেপ নেই। কর্মসংস্থানের কথাও বলা হল না। করোনা মোকাবিলার বরাদ্দ কোথায়? বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৯০ হাজার কোটি। ৯০ হাজার কোটি আগেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্যাকেজ আইওয়াশ। দুর্ভোগের সময় মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা। কেন কৃষিঋণ মকুব করা হল না। বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বৃদ্ধি প্রত্যাশিত। টাকা নেই, রাজ্যগুলি চলবে কী করে?’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘বেসরকারি কর্মীর বেতন থেকে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। ১২% নয়, ৩ মাস ধরে ১০% ইপিএফ কাটা হবে। সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২% পিএফ কাটা হবে।
‘বহু দেশে ওষুধ-সহ চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। ভারত আত্মনির্ভর না হওয়া পর্যন্ত সংস্কার চলবে’
‘দেশের বিকাশের লক্ষ্যেই এই প্যাকেজ। আত্মনির্ভর ভারত গড়তেই কেন্দ্রের এই প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ৫টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে প্যাকেজ। সমাজের সর্বস্তরে বদলের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্র্যান্ড করাই সরকারের লক্ষ্য। ‘৪০ দিনে দেশেই পিপিই, মাস্ক, ভেন্টিলেটরের উৎপাদন’
আত্মনির্ভর হওয়া মানে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয়। সংস্কারের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপগুলি সফল হয়েছে। গরিবদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। সরাসরি ব্যাঙ্কে ভর্তুকি লকডাউনে সুফল দিয়েছে। '
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে চতুর্থ দফার লকডাউন এবং ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশাল আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সঙ্গে জড়িত প্যাকেজ সম্পর্কে বিশদে জানাবেন।
মোদি বলেন, এই প্যাকেজ ভারতের জিডিপির প্রায় দশ শতাংশ। ২০ লক্ষ কোটি টাকার এই প্যাকেজ ২০২০-তে দেশের উন্নতির যাত্রাকে নতুন গতি দেবে। এই প্যাকেজে জমি, শ্রমিক, লিকুইডিটি, ল’ সব ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই প্যাকেজ কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য। যারা আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তি। এই আর্থিক প্যাকেজ দেশের সেই শ্রমিকের জন্য, সেই কৃষকের জন্য, যারা সব মরসুমে দেশবাসীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। এই আর্থিক প্যাকেজ মধ্যবিত্তের জন্য, যারা কর দেয়। এই প্যাকেজ ভারতীয় শিল্পের জন্য।
বুধবার, ওই প্যাকেজের ব্রেক-আপ তথা কোন কোন খাতে কত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, তা বিশদে জানাবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আজ বিকেল ৪টে নাগাদ এই বিষয়ে ঘোষণা করবেন সীতারমণ। এদিন সকালেই, ট্যুইট করে সে কথা জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
তার আগে, এদিন দুপুরে নির্মলার বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পিএমও-র অফিসাররা। স্থির হয়েছে, ৩ দিন ধরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্যাকেজের ব্যাখ্যা। আজ গরিবদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করবেন নির্মলা। কাল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা। শুক্রবার কর্পোরেট ক্ষেত্রের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান বহু নেতা। তাঁদের মতে, এই বরাদ্দ দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে সাহায্য করবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, এই বিশাল আর্থিক প্যাকেজ যুবসমাজ ও কৃষক সমেত সমাজের বিভিন্ন স্তরকে বহুমূল্য সহায়তা প্রদান করবে। তিনি ট্যুইট করে সেই কথা জানান।
গতকালের ভাষণে স্বনির্ভবতারও কথা ঘোষণা করেন। বলেন, আজ বিশ্বে আত্মনির্ভরতার সংজ্ঞা বদলেছে। বিশ্বের সামনে ভারতের পরিস্থিতি আশার আলো দেখাচ্ছে। ভারত যখন আত্মনির্ভরতার কথা বলে, তখন আত্মকেন্দ্রিক ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করে না। ভারতের আত্মনির্ভরতায় সংসারের সুখ, সহযোগ এবং শান্তির চিন্তা থাকে। ভারতের উন্নতিতে বিশ্বের উন্নতি নিহিত রয়েছে। ভারতের কাজের প্রভাব বিশ্বকল্যাণে পড়ে।
একইসঙ্গে, তিনি শক্তিশালী দেশীয় পরিকাঠামোর কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ভারতের ওষুধ আজ নতুন আশা দেখাচ্ছে। সারা বিশ্বে ভারতের প্রশংসা হচ্ছে। ভারতীয়রা গর্বিত। পৃথিবী বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, ভারত অনেক উন্নতি করতে পারে। মানবকল্যাণে অনেক কিছু দিতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -