আগরতলা :  আক্রান্ত দলীয় কর্মীকে দেখতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হল  ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। সিপিএম নেতা তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার গতকাল শান্তিবাজারে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়েন। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সিপিএম নেতাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে। সিপিএমের অভিযোগ, গন্ডগোলের সময় নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ।


 এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার বিজেপি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।  তিনি ট্যুইট করেন, বিরোধী দলনেতার ওপর হামলা দুর্ভাগ্যজনক। 


মানিক সরকার অভিযোগ করেন, সোমবার তাঁরা শান্তিবাজারে দলের সমর্থকদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। যদিও পুলিশের দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় কিছু তরুণ ইঁট ছোঁড়েন। কিন্তু এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।


সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার বলেছেন, গত বুধবার শান্তিবাজারে তাঁদের  সমর্থকরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কার্ল মার্ক্সের জন্মদিন পালনের সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।   তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই শান্তিবাজারে এসেছিল সিপিএমের প্রতিনিধি দল। 
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মানিক সরকার। সেইসঙ্গে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিধানসভার উপ বিরোধী দলনেতা বাদল চৌধুরী ও অন্যান্য নেতারা। 
সিপিএমের ওই প্রতিনিধি দলকে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং ‘গো ব্যাক সরকার’ স্লোগানও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই সময় প্রতিনিধি দলগুলি ফিরে যেতে বলে বলেও অভিযোগ। সিপিএম নেতারা যখন প্রধান সড়কের দিকে ফিরছিলেন, সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ মানিক সরকারের। 
শান্তিবাজারের এসডিপিও দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় কেউ জখম হননি। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ও সিপিএম নেতাদের সুরক্ষার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জও করতে হয়। 
মানিক সরকারের অভিযোগ, তাঁরা যে ওই এলাকায় যাবেন, তা আগেই জানানো হয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে। এরপরও তাঁদের হামলার মুখে পড়তে হয়। তাঁর অভিযোগ, এটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা ও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের মদত না থাকলে এমনটা সম্ভব হত না। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং সিপিএম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। 
যদিও এই হামলায় বিজেপির হাত থাকার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেছেন, হামলাকারীরা বিজেপি কর্মী নন। হামলাকারীরা প্রাক্তন সিপিএম কর্মী, যাঁরা সিপিএমের ২৫ বছরের অপশাসনে বঞ্চিত ও শোষিত হয়েছেন।