নয়াদিল্লি: প্রয়াত রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও প্রবীণ সাংবাদিক চন্দন মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দিল্লিতে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুত্র কুশান মিত্র।  


এই প্রাক্তন সাংসদ ও সাংবাদিকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ট্যুইট, ‘শ্রী চন্দন মিত্রজির বুদ্ধিমত্তা ও অন্তদৃষ্টির জন্য তাঁকে মনে রাখবেন সবাই। তিনি সংবাদমাধ্যম জগতের পাশাপাশি রাজনীতির দুনিয়াতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর প্রয়াণে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।’


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চন্দন মিত্রর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, ‘শ্রী চন্দন মিত্রর প্রয়াণে শোকাহত। সাংবাদিকতা ও রাজনীতির জগতে অবদানের জন্য তাঁকে মনে রাখা হবে। তাঁর পরিবার-পরিজনদের সমবেদনা জানাই।’ https://twitter.com/MamataOfficial/status/1433303521865060354


প্রয়াত চন্দন মিত্রর সঙ্গে স্কুলে পড়তেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। বন্ধুর প্রয়াণে তিনি শোকাহত। ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি চন্দন মিত্রর সঙ্গে স্কুলে পড়ার সময়ের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘১৯৭২ সালে চন্দন মিত্র আর আমার একসঙ্গে স্কুলের হয়ে ভ্রমণের ছবি পোস্ট করছি। যেখানেই থাকো না কেন, সুখে থাকো আমার প্রিয় বন্ধু। ওম শান্তি।’


স্বপন দাশগুপ্ত ট্যুইটে আরও লিখেছেন, ‘আমি আজ সকালে প্রিয় বন্ধু, পায়োনিয়রের সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্রকে হারালাম। আমরা একসঙ্গে লা মার্টিনিয়রে পড়তাম। তারপর আমরা সেন্ট স্টিফেন্স এবং অক্সফোর্ডে পড়েছি। আমরা একই সময়ে সাংবাদিকতা শুরু করি। অযোধ্যা ও গেরুয়া ঢেউয়ের উত্তেজনা অনুভব করেছি।’


বিজেপি-র হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হলেও, ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন চন্দন মিত্র। তিনি ‘দ্য পায়োনিয়র’ সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন। তবে জানা গিয়েছে, এ বছরের জুনে তিনি এই সংবাদপত্রের প্রকাশক ও সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।


১৯৫৫ সালের ১২ ডিসেম্বর হাওড়ায় জন্ম হয় চন্দন মিত্রর। তিনি কলকাতার লা মার্টিনিয়র স্কুলে পড়তেন। এই অভিজাত স্কুলে তাঁর সহপাঠী ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। এরপর তাঁরা একসঙ্গে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়েন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে শশী তারুরের বন্ধুত্ব হয়। কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তারুরের হয়ে প্রচার করেন চন্দন। তিনি এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এম ফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তারুর।