মুম্বই: সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার যে অফিসে গতকাল বিকেলে আগুন লেগেছিল, সেখানে আবার আগুন লাগল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুনের গোপালপাট্টি এলাকায় সিরাম কারখানার টার্মিনাল ওয়ান গেটে বিধ্বংসী আগুনে ৫ জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, নতুন করে লাগা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল।
সিরামের আগুনে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, এই যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্তে যাঁরা নিজেদের প্রিয়জনকে হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রার্থনা করি, যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সেরে উঠবেন।
সিরাম ইনস্টিটিউট এ দেশে কোভিশিল্ড করোনা টিকা তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে কোভিশিল্ড, যে বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে, সেখানে ওই টিকা ছিল না।
সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মৃত কর্মীদের পরিবার পিছু ২৫ লাখ টাকা করে সাহায্য করবে তারা, পাশাপাশি সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যে টাকা তাঁদের প্রাপ্য তাও দেওয়া হবে। সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের সকলের পক্ষে অত্যন্ত শোকের দিন। মঞ্জরীর স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তাঁদের কারখানায় আগুনের জেরে কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। কীভাবে আগুন লাগল এখনও স্পষ্ট নয়, ঝালাইয়ের কাজ চলছিল, সম্ভবত সেখান থেকেই লেগেছে আগুন।
পুনে দমকলের অন্তত ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে নেমেছে।
সিরাম সূত্রে খবর, তাদের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের চতুর্থ ও পঞ্চম তলে আগুন ধরে, যেখানে টিকা তৈরি হচ্ছিল তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই ঘটনায় টিকা তৈরির কাজ ব্যাহত হয়নি, দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর সব রকম চেষ্টা করছে। আজ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এই মঞ্জরীর কারখানা থেকেই কোভিশিল্ড টিকা দেশের সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে। তবে কোভিশিল্ড তৈরির ইউনিট এই পুড়ে যাওয়া বহুতল থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বলে জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, কীভাবে আগুন লাগল জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা।