নয়াদিল্লি:  সোমবারই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসে একটি নাম গীতা গোপীনাথ। ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড বা আইএমএ-এফ প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত গীতা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এদেশেই। যদিও বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।


 

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক পাসের পর দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তারপর ২০০১ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন গীতা। ২০০১ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়তে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে যোগ দেন। তারপর ২০০৫ সালে হাভার্ডে যোগদান। ২০১০ সালে হাভার্ডেই স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন গীতা। তাঁর গবেষণার মূল বিষয় আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং ম্যাক্রো ইকনমিক্স। ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চের ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স এবং ম্যাক্রো ইকনমিক্সের কো-ডিরেক্টর। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বোস্টনের ভিজিটিং স্কলারও ছিলেন তিনি। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইকনমি অ্যাডভাইসারি প্যানেলের অন্যতম সদস্য ছিলেন একসময়।  সোমবার আইএমএফ-এর তরফে এক বিবৃতি দিয়ে তাদের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে ডিসেম্বরে গীতার যোগদানের কথা ঘোষণা করে। মরি অবস্টফেল্ডের সরে দাঁড়ানোর পর গীতা তাঁর পদে বসছেন।

গীতা গোপীনাথ  কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া, মার্কিন ইকনমিক রিভিউয়ের সহ-সম্পাদক, হ্যান্ডবুক অফ ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক্সেরও সহ-সম্পাদক এবং রিভিউ অফ ইকনমিক স্টাডিজের ম্যানেজিং এডিটর ছিলেন।  এক সময় ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রকের জি-২০-র মুখ্য উপদেষ্টা গোষ্ঠীর সদস্যও ছিলেন। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের কাজের জন্যে স্বীকৃতিও পান। ২০১৪ সালে আইএমএফ তাঁকে ৪৫ জনের মধ্যে ২৫জন শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ২০১১ সালে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের তরুণ গ্লোবাল লিডারের স্বীকৃতিও পান।