নয়াদিল্লি: বড়দিন ও নববর্ষের সময় পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা হল গোয়া। হাজার হাজার পর্যটক এই সময় সৈকতরাজ্যে বেড়াতে যান। করোনা আবহেও বহু পর্যটক গোয়ায় ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশঃ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বর্ষশেষে বিধিনিষেধ জারি করেছে গোয়া সরকার। যে পর্যটকরা এই সময় গোয়া যাচ্ছেন, তাঁদের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নেওয়া থাকতে হবে, না হলে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে।
গোয়া সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘ক্যাসিনো, সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম, রিভার ক্রুজ, ওয়াটার পার্ক ও বিনোদন পার্কে মোট দর্শক বা পর্যটকের ৫০ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না।’
এখনও পর্যন্ত দেশের ২১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১। সংক্রমণ রোখার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। কয়েকটি রাজ্যে নাইট কার্ফুও জারি করা হয়েছে। তবে গোয়া সরকার এখনই সে পথে হাঁটছে না। কারণ, এই রাজ্যটি পর্যটন-নির্ভর। বড়দিন থেকে নববর্ষ পর্যন্ত গোয়ায় পর্যটনে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়। ফলে এই সময় ব্যবসায়িক ক্ষতি হোক, সেটা চাইছে না গোয়া সরকার।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত জানিয়েছেন, ‘নববর্ষের পার্টি বা রেস্তোরাঁয় যেতে হলে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ বা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। না হলে কোনও পার্টি করা যাবে না।’
বড়দিনের আগে থাকতেই গোয়ায় ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা। বাংলা থেকেও অনেকেই গোয়ায় বেড়াতে গিয়েছেন। গোয়ার হোটেলগুলিতে এখন ৯০ শতাংশ ঘরই পর্যটকে ঠাসা। গোয়া সরকার ৫০ শতাংশ পর্যটক রাখার নির্দেশ দিলেও, হোটেলগুলির পক্ষে সেই নির্দেশ মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। গোয়ার সমুদ্র সৈকতেও পর্যটকের ঢল নেমেছে।
আজ গোয়ায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন। গতকাল করোনা আক্রান্ত হন ১১২ জন। আজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।