নয়াদিল্লি: কৃষকদের ‘কষ্ট’, ‘দুর্দশা’ নিয়ে সংসদে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ রাহুল গাঁধীর। বৃহস্পতিবার লোকসভার জিরো আওয়ারে রাহুল সংক্ষিপ্ত ভাষণে কৃষক সমস্যার উল্লেখ করেন। তবে তিনি বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখেন কেরলের ওয়েনাড়ের চাষিদের সমস্যার মধ্যেই। সেখান থেকেই এবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল। কেন্দ্রের সরকার কৃষকদের কোনও ত্রাণ, সুবিধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন রাহুল, দাবি করেন, শিল্পপতিদের ৪.৩ লক্ষ কোটি ছাড়, সাড়ে ৫ লক্ষ কোটি ঋণ মকুব করা হয়েছে। কেন কেন্দ্রের সরকার কৃষকদের ধনী ব্যবসায়ীদের চেয়ে ‘হীনতর’ মনে করে, প্রশ্ন করেন তিনি। রাহুল বলেন, দেশব্যাপী কৃষকদের খারাপ অবস্থা চলছে। কেরলে তাঁদের অবস্থা ভয়াবহ। যেসব ব্যাঙ্ক থেকে তাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, তারা তা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করায় কৃষকরা জমি-সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার মুখে পড়েছেন বলেও জানান রাহুল। এই কারণে কেরলে ১৮ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন,  মোদি কৃষকদের ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাই সরকারের সেগুলি পূরণ করা উচিত।


তবে রাহুলের অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ পাল্টা কৃষকদের বেহাল দশার জন্য কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনকে দায়ী করেন, কৃষকদের জন্য নরেন্দ্র মোদি যা করেছেন, আর কোনও প্রধানমন্ত্রীই তা করেননি বলেও দাবি করেন। রাজনাথের সওয়াল, সরকারের চাষিদের মাথাপিছু ৬০০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাদের আয় ২০-২৫ শতাংশ বাড়বে। বিজেপি-জোট সরকার দেশে ক্ষমতায় আসার আগে আরও অনেক বেশি চাষি আত্মহত্যা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ব্যাপারটা এমন নয় যে, চাষিদের অবস্থার অবনতি হয়েছে গত ১, ২ বা চার বছরে। যারা দীর্ঘকাল ধরে দেশ শাসন করেছে, কৃষকদের দুরবস্থা তাদের জন্যই।  আমাদের প্রধানমন্ত্রী চাষিদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) যতটা বাড়িয়েছেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে আর কেউ তা করেননি।

রাহুলের ভাষণ শেষ হতেই অন্য কংগ্রেস সাংসদরা কর্নাটক, গোয়ায় দলীয় বিধায়কদের দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলতে চান। বিজেপিকে এজন্য নিশানা করেন  তাঁরা। কিন্তু স্পিকার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন। পরে তৃণমূল, বিএসপির মতো বিরোধী দলগুলিও তাঁদের দলে সামিল হন।