পীযূষ পাণ্ডে, মুম্বই: দেশজুড়ে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়ে নবান্নে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। এরই মধ্যে আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উপর পেট্রোল ও ডিজেলের দামের প্রভাব পড়ে। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে গেলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। শুধু যাঁরা গাড়ি ও বাইক চড়েন তাঁদেরই বিষয় নয়, উৎপাদন শিল্প, পরিবহণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে। আশা করি কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি পেট্রোল ও ডিজেলের দামের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কর গভর্নর আরও বলেছেন, ‘কর কমানোর বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির একযোগে কাজ করা দরকার। কারণ, অপ্রত্যক্ষ কর নেওয়া হয়। আমরা বুঝি, রাজস্বের বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উপর চাপ রয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষ যাতে করোনামুক্ত হতে পারেন, তার জন্য প্রচুর টাকা দরকার। আমি নিশ্চিত, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সহযোগিতার ভিত্তিতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।’
দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেছেন, ‘উৎপাদন ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। মাঝারি, ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগ করা দরকার। ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আমাদের কিছু উদ্বেগ রয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিট্যাল কারেন্সি চালু করতে চাইছে আরবিআই। যা ক্রিপ্টোকারেন্সির চেয়ে অনেকটাই আলাদা। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়তে চাই না। প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে।’