নয়াদিল্লি: ‘কমছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে আফস্পা (AFSPA) এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি। কমছে নাগাল্যান্ড (Nagaland), মণিপুর (Manipur), অসমের (Assam) আফস্পা এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়নের কারণেই শান্তি ফিরেছে উত্তর-পূর্বে (North East India)। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আফস্পা এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা কমানোর সিদ্ধান্ত’, ট্যুইট করে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। 


উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে উত্তর-পূর্ব ভারত অবহেলিত ছিল। এখন সেখানে শান্তি, উন্নয়ন, অভূতপূর্ব অগ্রগতির নতুন যুগ দেখা যাচ্ছে।’


আফস্পা উঠছে অসমে


আজ মধ্যরাত থেকেই পুরোপুরি আফস্পা তুলতে চলেছে অসম। শুধুমাত্র ৯টি জেলা ও একটি সাব ডিভিশনে জারি থাকবে আফস্পা। ‘অসমের ৬০ শতাংশ এলাকা থেকে তুলে দেওয়া হবে আফস্পা। নামনি অসম, মধ্য অসম ও উজান অসমে মধ্যরাত থেকেই উঠে যাবে আফস্পা’, জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।


স্বাগত জানালেন সর্বানন্দ সোনোয়াল


কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অসম থেকে রাজ্যসভার সাংসদ সর্বানন্দ সোনোয়াল এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘আফস্পার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি কমানোর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে দ্রুত উন্নয়নের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।’


স্বাগত জানালেন কিরেন রিজিজু


আফস্পার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি জানিয়েছেন, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতে আফস্পার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি কমানোর সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। অরুণাচল প্রদেশে অনেকদিন আগেই তিনটি জেলা বাদ দিয়ে বাকি সব জায়গা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেখিয়ে দিচ্ছে, উত্তর-পূর্বে শান্তির যুগ এসেছে।’


কয়েক দশক ধরে জারি আফস্পা


১৯৫৮ সালে সশস্ত্রবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) জারি করা হয়। আফস্পার এক্তিয়ারভুক্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনী যে কোনও সময় তল্লাশি অভিযান চালাতে পারে, সমন জারি না করেই যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। কয়েক দশক ধরে অসম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে এই আইন জারি আছে। নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বারবার আফস্পার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। অবশেষে আফস্পার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার পরিধি কমানো হচ্ছে।