নয়াদিল্লি: জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪-তম বৈঠকে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বৈঠকে স্থির হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ‘অ্যামফোটেরিসিন বি’-র উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই ওষুধটি করমুক্তভাবেই বিক্রি করা হবে। এছাড়া ইলেকট্রিক ফার্নেস ও শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের উপর জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, মূলত করোনা চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের উপর কর কমানো নিয়েই জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪-তম বৈঠক ছিল। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অর্থমন্ত্রীরা এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ‘ইলেকট্রিক ফার্নেস, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র এবং অ্যাম্বুল্যান্সের উপর থেকে যে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মন্ত্রিগোষ্ঠী অগাস্ট পর্যন্ত এই সংশোধিত জিএসটি কার্যকরের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সময়সীমা আরও একমাস বাড়ানো হচ্ছে।’
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশে করোনার যে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলির উপর জিএসটি-র হারে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। এখন যে ৫ শতাংশ জিএসটি আছে, সেটাই থাকছে। রেমডিসিভিরিরের উপর জিএসটি কমানো হচ্ছে। এর আগে রেমডিসিভিরের উপর জিএসটি ছিল ১২ শতাংশ। সেটা এখন কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত টসিলিজুমাবের উপর থেকে জিএসটি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ওষুধ, অক্সিজেন, অক্সিজেন তৈরি ও সরবরাহ সংক্রান্ত সরঞ্জাম, করোনা পরীক্ষার কিট সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামের উপর থেকেও জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। এছাড়া পালস অক্সিমিটার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশই থাকছে।