নয়াদিল্লি: পঞ্জাবের কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানে সাড়া। আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন অন্য রাজ্যের কৃষকরাও। ট্র্যাক্টরে চড়ে তাঁরা রওনা দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশে। ইতিমধ্যেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় সিঙ্ঘুতে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার কৃষক।অন্যদিকে, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের পর এবার আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন অমিত শাহ। ৩ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি জানিয়েছেন। তবে তার আগে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কৃষকরা অবশ্য শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় বসার প্রস্তাবে সাড়া দিতে নারাজ।

এরই মধ্যে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে হরিয়ানার খাপ। আজ খাপ প্রধান ও দাদরির বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গওয়ান জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল সব খাপ একজোট হয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবে। আমরা কেন্দ্রকে কৃষি আইন নিয়ে ফের ভাবনাচিন্তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সবারই মতপ্রকাশের অধিকার আছে।’

হাজার হাজার কৃষক চারদিন ধরে সিঙ্ঘু ও টিকরি অঞ্চলে অবস্থান করছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাঁদের বুরারিতে সরে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে কৃষকরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারির সভাপতি সুরজিৎ এস ফুল জানিয়েছেন, ‘বুরারি পার্ক খোলা কারাগার। আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওখানে যাব না। উত্তরাখণ্ড কৃষক সংগঠনের সভাপতিকে দিল্লি পুলিশ বলেছিল, তাঁদের যন্তর মন্তরে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তার বদলে তাঁদের বুরারি পার্কে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব, কৃষকরা বুরারির সন্ত নিরঙ্কারি গ্রাউন্ডে সরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলেই সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা অমিত শাহের সমালোচনা করে সুরজিৎ বলেছেন, ‘আলোচনায় বসার জন্য শর্ত দেওয়া কৃষকদের অপমান। আমরা বুরারিতে যাব না। ওটা পার্ক না, খোলা কারাগার। ওখানে যাওয়ার বদলে আমরা ঠিক করেছি, দিল্লি ঘেরাও করব। দিল্লিতে প্রবেশের পাঁচটি প্রধান জায়গা অবরুদ্ধ করা হবে। আমাদের কাছে চার মাসের খাবার মজুত আছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমাদের কার্যনির্বাহী সমিতি যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

কৃষক সংগঠনের কথায় পরিষ্কার, তাঁরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। সরকারের চাপে তাঁরা নতিস্বীকার করবেন না। সরকার কিছুটা নমনীয় হলেও, এখনও পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মেনে নিতে রাজি হয়নি।