নয়াদিল্লি: ইংল্যান্ডে করোনার পরিবর্তিত ভয়ঙ্কর স্ট্রেন গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। লন্ডন থেকে বিমান আসা আপাতত বন্ধ করে এই জীবাণু যাতে ভারতে না আসে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তা ইতিমধ্যেই ভারতে এলে পৌঁছেছে কিনা সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিশ্চিত নয়। যতক্ষণ না সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি বিষয়টি নিশ্চিত করছে, ততক্ষণ এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছে।

পরিবর্তিত এই ভাইরাস ছড়ায় কোভিড-১৯-এর থেকে অনেক দ্রুত গতিতে। এটি ভারতে এসে পৌঁছেছে কিনা তখনই বোঝা যাবে, যখন জেনোম সিকোয়েন্স প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। আর তা সম্ভব শুধু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), বায়োটেকনোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) -এর নির্দিষ্ট করা ল্যাবরেটরিতেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, ২২ তারিখ ব্রিটেন থেকে মুম্বইয়ে যে ১৫ জন যাত্রী এসে পৌঁছেছেন, তাঁদের জেনোম সিকোয়েন্সিং এখনও হয়নি। ফলে কোনও নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা ছাড়াই এটা বলা ঠিক নয় যে ওই করোনা স্ট্রেন ভারতে এসে পৌঁছেছে।

নতুন এই স্ট্রেন বেশি বিপজ্জনক, ছোঁয়াচেও পুরনো করোনা জীবাণুর থেকে ৭০ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞদের এই ঘোষণার পরেই ভারত সহ ৪০টির বেশি দেশ ব্রিটেনে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, এটি শুধু সাবধানতা সূচক ব্যবস্থা। ওই স্ট্রেন এখনও ভারতে পাওয়া যায়নি।