জেলাশাসকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে নির্যাতিতার দাদা বলেন, জেলাশাসক তাঁদের বলেছিলেন, মেয়ে করোনায় মারা গেলে কী করতেন ? , করোনায় মারা গেলে কিন্তু আর্থিক সাহায্য পেতেন না।
সবার মোবাইল ফোনে চলছে নজরদারি। আড়ি পাতা হচ্ছে ফোনে। এমনটাই দাবি করেন নির্যাতিতার দাদা।
কিছুতেই বাড়ির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না। কারও সঙ্গে কথাও বলতে দেওয়া হচ্ছিল না। দাবি পরিবারের। মেয়েকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগও হয়নি। বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে উঠলেন মৃতার মা। বললেন,‘মেয়ের মৃতদেহ একবার দেখারও সুযোগ পাইনি, দাবিহীন দেহের মতো জ্বালিয়ে দিল শরীরটা’। তাহলে অস্থি আনতে গেলেন না কেন?
কেন যাব বলুন! প্রশ্ন নির্যাতিতার পরিবারের। ‘যাকে জ্বালিয়ে দিল সে আমাদের মেয়ে কীনা কী করে জানব ? কেন আমরা তার অস্থি নিতে যাব ? ’
শুধু তাই নয়, চলছে পদে পদে নজরদারি। বললেন মৃতার ভাই। বাচ্চাদের জন্য দুধ আনতে গেলেও প্রশ্ন করছে পুলিশ। দাবি পরিবারের।
জিভ কেটে দেওয়া হয়েছিল। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল মেয়ে। তার মধ্যেই মাকে বলেছিল, বাড়ি নিয়ে চল। তার কথা রাখতে পারেনি পরিবার। ‘হাসপাতালে বারবার ও বলছিল বাড়ি নিয়ে যেতে, বললাম এই অবস্থায় কী করে বাড়ি যাবে? ’, হাহাকার করে উঠলেন নির্যাতিতার মা।
‘প্রশাসনের তরফে কেউ পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেনি, জেলাশাসক বলেছিলেন টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে । সত্য উদ্ঘাটনের ভয়েই সংবাদ মাধ্যমকে বাধা
দাবি পরিবারের সদস্যদের।
হাসপাতালে নির্যাতিতার চিকিৎসাও ঠিকঠাক হয়নি। দাবি পরিবারের। স্যালাইনের বোতল খালি ছিল বলে অভিযোগ।