পটনা: বিহারে কার্যকর হচ্ছে না জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি)। আজ বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। একইসঙ্গে আজ জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে যেভাবে এনপিআর কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল, একটি সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাই কার্যকর হবে। এরই মধ্যে এনপিআর ফর্ম থেকে বিতর্কিত ধারা বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।


আজ বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় নীতীশ বলেন, ‘রাজ্যে কীভাবে এনপিআর কার্যকর হবে, সে বিষয়ে কোনওরকম সংশয় থাকা উচিত নয়। কাউকে বাবা-মার জন্মস্থান সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হবে না। আমার বাবা-মায়ের জন্মতারিখ জানি না। আমাকে জানানো হয়েছে, কেউ ইচ্ছা করলে এ বিষয়ে তথ্য না-ও দিতে পারেন। তবে জায়গা ফাঁকা রাখলে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। তাই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে ২০১০-১১ সালের ধাঁচে এনপিআর কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, এনপিআর ফর্মে লিঙ্গের জায়গায় রূপান্তরকামীদেরও যুক্ত করতে হবে।’

বিজেপি-র জোটসঙ্গী হলেও, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে জেডি (ইউ)। আজ এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী কংগ্রেস ও আরজেডি-কে আক্রমণ করে নীতীশ বলেছেন, ‘দেশজুড়ে এনআরসি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরেও এটা নিয়ে হইহট্টগোল করা ঠিক নয়। ২০০৩ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে মনমোহন সিংহ, প্রণব মুখোপাধ্যায়, লালুপ্রসাদ যাদবের মতো নেতারা দ্রুত প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু এখন কংগ্রেস-আরজেডি নেতারাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছেন।’