মুম্বই: দুই নিহত যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকর ও গোবিন্দ পানসারের পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা শুনানি করা বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ নানা মামলা সংক্রান্ত তথ্য মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করে দেওয়ায় মহারাষ্ট্র পুলিশকে একহাত নিল। পুলিশের এ ধরনের ‘অতি উৎসাহ আদতে ক্ষতিকর’ হতে পারে বলে অভিমত জানিয়েছে বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি বি পি কোলাবাওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ।

দাভোলকর হত্যার তদন্ত করছে সিবিআই। পানসারে খুন মামলার তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য সিআইডি। প্রয়াত ২ যুক্তিবাদীর পরিবার আদালতের তদারকিতে তদন্তের আবেদন করেছে বেঞ্চের কাছে। বেঞ্চ দুই তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথিপত্র, তথ্য খতিয়ে দেখে বলে, তদন্ত সংস্থাগুলি প্রতিদিনই মামলা সংক্রান্ত জরুরি তথ্য মিডিয়াকে জানিয়ে দিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে গত শুক্রবার সিনিয়র আইপিএস অফিসার পরমবীর সিংহের পুণে পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মাওবাদী যোগসাজশের অভিযোগে বিদ্বজ্জনেদের গ্রেফতারির সাফাই দেওয়ার উল্লেখ করে বিচারপতি ধর্মাধিকারী বলেন, এই মিডিয়া ব্রিফিং নিয়ে অনেক শোরগোল হয়, অনেক তথ্য বাইরে বেরয়।  সাংবাদিক বৈঠকে পরমবীর গ্রেফতার বিদ্বজ্জনেরদের মধ্যে চালাচালি হয়েছে বলে দাবি করে কয়েকটি চিঠি পড়ে শুনিয়ে ঘোষণা করলেন, তাঁদের কাছে গত জুনে ও সম্প্রতি গ্রেফতার সমাজকর্মীদের মাওবাদী যোগসাজশের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ আছে। এই অতিরিক্ত উৎসাহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ ধরনের সাড়া জাগানো মামলায়, যখন তদন্ত অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে, সেসময় পুলিশের মিডিয়াকে না ডাকাই ভাল। এটা পরিণত মানসিকতার অভাবের পরিচয়। মিডিয়াকে তথ্য জানিয়ে পুলিশ অভিযুক্তদেরই সাবধান হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। পুলিশ মেশিনারির আত্মপ্রচার ও নিজেদের পিঠ চাপড়ানি ঠিক নয়। রোজই দেখছি সংবেদনশীল মামলার নানা তথ্য মিডিয়ায় বেরচ্ছে।  কার নির্দেশে এসব তথ্য মিডিয়াকে দেওয়া হচ্ছে?

বিচারপতি ধর্মাধিকারী সিবিআইয়ের প্রতিনিধি এএসজি অনিল সিংহকে বলেন, সাংবাদিক বৈঠক করা ওই পুলিশ অফিসারদের নিম্ন আদালতে গিয়ে দেখতে বলুন, একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করা কতটা কঠিন কাজ।