ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনা আক্রান্তদের চিকিত্‍সার বিবিধ খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত অগাস্ট থেকে ধাপে ধাপে এ সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কোভিড চিকিত্‍সার খরচ সংক্রান্ত সেই নির্দেশিকা না মানার অভিযোগে চারটি হাসপাতালকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন। ওই চারটি হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে, মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ফর্টিস হাসপাতাল, বেলেঘাটার ডিভাইন হাসপাতাল ও বিপি পোদ্দার হাসপাতাল।

মেডিকার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির অভিযোগ, স্যানিটাইজেশনের খরচ সরকার ৫০ টাকা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, সফটওয়ারে ত্রুটির জন্য ওই ভুল হয়েছিল। টাকা ফেরত দিতে চাইলেও রোগী তা নেননি বলে হাসপাতালের দাবি। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশ, স্যানিটাইজেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা যত জনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে ফেরত দিতে হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতে মেডিকাকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হবে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের আশপাশে শিশুদের অপুষ্টির সমস্যা দূর করার জন্য। এ নিয়ে মেডিকা কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এটা অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর  জন্য বার্তা। আমরা খরচের যে গাইডলাইন দিয়েছি, তা যেন মেনে চলা হয়।’

ওষুধ বাবাদ বাড়তি খরচ করানোর অভিযোগ উঠেছে ফর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ওই রোগীকে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বলেছে স্বাস্থ্য কমিশন। ফর্টিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ মানা হবে।

কোভিড রোগীর চিকিত্‍সায় অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ উঠেছে বেলেঘাটা ডিভাইন হাসপাতাল ও বিপি পোদ্দার হাসপাতালের বিরুদ্ধেও। স্বাস্থ্য কমিশন ডিভাইন হাসপাতালকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে। ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকা ফেরত দিতে হবে বিপি পোদ্দার হাসপাতালকে। এ নিয়ে এই দুই হাসপাতালের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।