নয়াদিল্লি: দাউদ ইব্রাহিমের নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর অস্বীকার ভাই আনিসের। মাফিয়া ডন ও তার স্ত্রী কোভিড-১৯ পজিটিভ, দুজনকে করাচির আর্মি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দাউদের ডি-কোম্পানির আন্ডারওয়ার্ল্ডের যাবতীয় অপারেশন ও আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণকারী আনিস ইব্রাহিম। শোনা গিয়েছিল, ভারতের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী দাউদ সস্ত্রীক করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, কাজের লোকজনকে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে।
কিন্তু ফোনে কোনও এক অজ্ঞাত স্থান থেকে সংবাদ সংস্থাকে আনিস বলেছে, করোনাভাইরাস মারাত্মক অতিমারী বটে, তবে তার ভাই দাউদ, তাদের পুরো পরিবারে তার আঁচ লাগেনি, সবাই বাড়িতেই আছে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও পাকিস্তানে সাম্রাজ্য চালানোর কথা স্বীকার করেছে সে।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ভোগ করে আসা দাউদ করাচিতে থাকে, ১৯৯৩ এর মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণ ছাড়াও সীমান্তের দুপারে অজস্র অপরাধে জড়িত বলে দাবি ভারতের। যদিও পাকিস্তান বরাবর তাদের মাটিতে দাউদ, তার পরিবারের অস্তিত্বই স্বীকার করেনি কখনও। ১৯৯৪ থেকে করাচিতে থাকা দাউদের পরিবারে তার মেয়ে মাহরুখও থাকে, যার সঙ্গে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলের বিয়ে হয়েছে। আবার ডি কোম্পানির শার্প শ্যুটার, তোলাবাজি ও বেটিং সিন্ডিকেটের চাঁই ছোটা শাকিলও থাকে করাচিতে।
আনিসের দাবি, ভাই(দাউদ) ভাল আছে, শাকিলও। কেউই করোনাভাইরাস পজিটিভ নয়। আমাদের পরিবারের কেউ হাসপাতালেও নেই।
ডি কোম্পানির স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণকারী আনিস নয়ের দশক থেকেই খবরে রয়েছে মুম্বইয়ে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে অস্ত্রবোঝাই গাড়ি রেখে দেওয়ার সঙ্গে নাম জড়ানোয়। বলিউডের ছবিতে টাকা ঢালা, দুবাই থেকে ক্রিকেটে বেটিং সিন্ডিকেট চালানোয় অভিযুক্ত সে। শোনা যায়, কয়েক বছর আগে সে সৌদি আরবে ধরা পড়ে, তবে ভারতীয় এজেন্সির কব্জা থেকে পালিয়ে যায়।