নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় তিহার জেলে বন্দি পি চিদম্বরমের শরীর ঠিকই আছে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর শরীর-স্বাস্থ্যের অবস্থা খতিয়ে দেখতে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে গড়া বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের উল্লেখ করে এ কথা বলেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আজ হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট পড়েন তিনি। চিদম্বরমকে সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশে রাখার দরকার নেই বলে জানান মেহতা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক ভাবে কাজ করলেও তাঁর জন্য বাড়ির খাবার, মিনারেল ওয়াটার, মুখোশের ব্যবস্থা করতে হবে। সেইমতো চিদম্বরমের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনের শুনানি করা বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত তিহার জেল সুপারকে তাঁর জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করতে বলেন, মিনারেল ওয়াটার, মশারি, মশা তাড়ানোর ধূপ, বাড়ির রান্না করা খাবার সরবরাহেরও নির্দেশ দেন। সপ্তাহে দুবার চিদম্বরমের সেল পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত চিদম্বরমের মেডিকেল চেক আপ করাতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
চিদম্বরমের যেসব মেডিকেল টেস্ট করতে হবে, সেগুলির পাশাপাশি নিয়মিত তাঁর ব্লাড প্রেসারের ওপরও নজর রাখতে বলেছে হাইকোর্ট।
চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিবাল তাঁরা আর কোনও নির্দেশ চান না বলে জানান। এরপর আদালত অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে চিদম্বরমকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতির আবেদন খারিজ করে। ফলে চিদম্বরমের তিহার জেলের বাইরে আসার চেষ্টা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্রোহনস ডিজিসে ভোগা চিদম্বরমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মতামত দিতে বৃহস্পতিবার এইমসের ডিরেক্টরকে মেডিকেল বোর্ড গড়তে বলেছিল হাইকোর্ট। তাতে হায়দরাবাদ থেকে চিদম্বরমের পারিবারিক চিকিত্সক ডঃ নাগেশ্বর রেড্ডিকেও রাখতে বলা হয়। বোর্ড আজ রিপোর্ট পেশ করে। বলা হয়, চিদম্বরমকে এইমসে ভর্তি করার দরকার নেই।
গত ৩০ অক্টোবর দিল্লির বিশেষ আদালত ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চিদম্বরমকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। ইডি হেফাজতের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ায় তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। চিদম্বরম চলতি সপ্তাহের গোড়ায় হায়দরাবাদের ইনস্টিটিউট অব গ্যাসট্রোএনটেরোলজিতে পারিবারিক ডাক্তারকে দিয়ে চিকিত্সার জন্য ৬ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন। চিদম্বরমের আইনজীবীরা হাইকোর্টে জানান, গত ৭০ দিনে ৭৩ থেকে ৬৬ অর্থাত্ সাত কেজির বেশি তাঁর ওজন কমেছে। দিনদিন হেফাজতে তাঁর শরীর ভাঙছে।