বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে (Karnataka) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (Educational Institutions) হিজাব (Hijab) নিয়ে বিতর্ক সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় দিল হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। উদুপি (Udupi) জেলার কয়েকজন ছাত্রী ক্লাসরুম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার আবেদন জানিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান। সেই মামলাতেই আজ কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থী (Ritu Raj Awasthi) হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। 







আজ রায় দিতে গিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গোটা ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী আমরা কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি করেছিলাম। সেই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া গিয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছিলাম, ১. ইসলাম ধর্মচারণে কি হিজাব বাধ্যতামূলক? ২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে? ৩. গত ৫ ফেব্রুয়ারি সরকার যে নির্দেশিকা জারি করে, সেটি কি চিন্তাভাবনা না করেই জারি করা হয়েছিল? সরকার কি বিধি বহির্ভূতভাবে এই নির্দেশিকা জারি করে? আমরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেয়েছি। ইসলাম ধর্মবিশ্বাস অনুসারে, হিজাব বাধ্যমূলক নয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আর্জি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।’ 





এর আগে গত মাসে কর্ণাটক হাইকোর্ট সাময়িকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব, গেরুয়া স্কার্ফ সহ যাবতীয় ধর্মীয় প্রতীক বহনকারী পোশাক নিষিদ্ধ করে দেয়। এরপর আজ এই মামলায় রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।


আদালতের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে কোনওরকম অশান্তি বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আজ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বিক্ষোভ ও বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।  এ প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ জানিয়েছেন, ‘১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহ বেঙ্গালুরুতে সবরকম জমায়েত, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ বা আদালতের রায় উদযাপন করা যাবে না।’


দক্ষিণ কন্নঢ়ের ডিসি আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল-কলেজে সশীরের হাজির হয়ে আজ যে পরীক্ষাগুলি দেওয়ার কথা ছিল পড়ুয়াদের, সেই পরীক্ষাগুলি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে অনলাইনে যে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল, সেই পরীক্ষাগুলি আজ হচ্ছে।