এখন অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কয়েকদিন জ্বর হওয়ার পর ছেড়ে গেল। কিন্তু ৭-৮ দিন পর শুরু হল শ্বাসকষ্ট। তখন পরিস্থিতি এমন হল যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া উপায় থাকল না। তাহলে মানুষ সতর্ক হবে কীভাবে? এই প্রশ্নটাই চিন্তায় ফেলছে সকলকে।
করোনা আবহে ঘরে ঘরে মাস্ক, স্যানিটাইজার তো রাখাই হচ্ছে। এখন অনেকেই কিনছেন অক্সিমিটার। কিন্তু এই যন্ত্রটি করোনা নির্ধারণে কতটা কাজে লাগবে? আদৌ করোনা উপসর্গ আগেভাগে বোঝার ক্ষেত্রে কোনও উপকারে আসবে কি অক্সিমিটার?
মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট ডা.অর্পণ চক্রবর্তী। তিনি জানালেন, করোনার অন্যতম উপসর্গই হল রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া। কিন্তু তার উপসর্গ যে সবসময় চোখে পড়বেই, এমনটা নয়।
'হ্যাপি হাইপক্সিয়া' হলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। অক্সিমিটার বলে দেবে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিকঠাক আছে কি না। মেশিনে রিডিং অন্তত ৯৫ এর বেশি হওয়া দরকার। এর নীচে মাত্রা নামলে চিন্তার বিষয় তো বটেই। তখনই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
অন্যদিকে খেয়াল রাখতে হবে পালস রেটও। সাধারণ সময়ে কারও যা পালস রেট থাকে তার ২০ শতাংশ কম-বেশি হলেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
বাজার থেকে যে কোনও ভাল কোম্পানির পালস অক্সিমিটার তো কেনাই যায়, তবে অক্সিজেন লেভেল হঠাৎ কম দেখালে যন্ত্রটি ভাল কিনা সন্দেহ না করে, নিজের শরীরের দিকে নজর দিন। ডাক্তার দেখান।
এবার ধরুন কারও করোনা ধরা পড়ল, মৃদু উপসর্গ দেখে ডাক্তার তাঁকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিলেন। তখন শ্বাসের সমস্যা শুরু না হলেও, ফুসফুসের ফাংশন ঠিক রাখার জন্য কিনতে হবে ইনসেনটিভ স্পাইরোমিটার। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম। এতে থাকে একাধিক বল, যা ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে কাজে লাগে।
এছাড়াও বাড়িতে বয়স্ক মানুষ থাকলে বিপজ্জনক পরিস্থিতির কথা ভেবে অক্সিজেন হেল্পলাইনের নম্বর হাতের কাছে রাখতে হবে। কিনে পাখতে পারেন ন্যাসাল ক্যানুলা।