চোপড়া: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় কিশোরীর মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে, দেহের বাইরে বা ভিতরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর,  ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনই নয়। দেহের কিছু অংশের রাসায়নিক পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষার ফলাফল এলে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট।


এদিকে চোপড়া কাণ্ডে মৃত কিশোরীর দেহ নিয়ে বিজেপির মিছিলে বাধা দিন পুলিশ। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বিজেপি নেতাদের গাড়ি আটকায় তারা। গতকাল এই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চোপড়ার সোনাপুর এলাকা। জাতীয় সড়ক অবরোধ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি হয়। পরপর গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।



পুলিশের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশি নিগ্রহ সহ একাধিক অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এদিন ওই কিশোরীর মৃতদেহ নিতে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে যান বিজেপির কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও।