নয়াদিল্লি: লকডাউনের জেরে দেশের সর্বত্র অত্যবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বাকি প্রায় সব দোকানই বন্ধ। আজ থেকে শর্তসাপেক্ষে কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও, খুব তাড়াতাড়ি সব দোকান খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে আগামীকাল অক্ষয় তৃতীয়া। হিন্দু মতে এই শুভ দিনে অনেকেই সোনা কেনেন। রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ জানিয়েছে, অক্ষয় তৃতীয়ায় গড়ে ২০ থেকে ২৫ টন সোনা কেনা-বেচা হয়, যা ভারতে সারা বছরের সোনা কেনা-বেচার ৪ শতাংশ। কিন্তু এবার কী হবে? সোনা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে পড়ছে না। ফলে এবারের অক্ষয় তৃতীয়ায় অন্যান্যবারের মতো চেনা ছবি দেখা যাবে না।


অলঙ্কার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি অবশ্য অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা বিক্রি করার জন্য বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হাতে পাওয়ার সুযোগ না থাকলেও, সেদিন অনলাইনে সোনা কেনা যেতে পারে। লকডাউনে উঠে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

টাইটান কোম্পানি লিমিডেটের সিইও অজয় চাওলা জানিয়েছেন, ‘ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অক্ষয় তৃতীয়ায় তনিস্কের সোনা কেনার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ। আমরা ওয়েবসাইটে ভিডিও কল, লাইভ অ্যাসিস্টেড চ্যাটের মতো সুবিধা রেখেছি। এছাড়া ক্রেতাদের যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য রিমোট ওয়ার রুমও তৈরি করা হয়েছে।’

কল্যাণ জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অক্ষয় তৃতীয়ার কথা মাথায় রেখে অনলাইনে ‘গোল্ড ওনারশিপ সার্টিফিকেট’ বিক্রি করা হচ্ছে। মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসও অনলাইনে সোনা কেনার সুযোগ দিচ্ছে। এমএমটিসি-পিএএমপি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে সোনা বিক্রি করছে পেটিএম।

অ্যক্সিজ সিকিউরিটিজের ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ বিভাগের প্রধান পঙ্কজ বোবাদে জানিয়েছেন, ‘বর্তমান সময়ে সোনা কেনার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ভাল। করোনা ভাইরাসের জেরে সারা বিশ্বে যেভাবে অর্থনীতি থমকে গিয়েছে, তাতে সোনায় বিনিয়োগ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ভবিষ্যতে সোনাই সবচেয়ে সুরক্ষিত বিনিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই এবারের অক্ষয় তৃতীয়ায় গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করাই যেতে পারে।’