ভোপাল: আর্থিক সংকটে ভুগছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এরইমধ্যে স্বস্তির খবরও রয়েছে। করোনা সংকটের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশ সরকারের চলতি মাসে ১২৭ কোটি টাকার মতো খরচ বেঁচে যাবে। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনটিতে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ-নিকাহ যোজনায় সম্ভাব্য ২৫ হাজারের বেশি বিয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণেই এই খরচ বাঁচবে। অক্ষয় তৃতীয়াই অনেক সামাজিক সংগঠন বৈবাহিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা ভেস্তে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, পারিবারিক বিয়েও পিছিয়ে গিয়েছে। তার সংখ্যাটাও কম নয়। আর এই সব বিয়ের আয়োজন হলে নব দম্পতি পিছু ৫১ হাজার টাকা করে মোট ১২৭ কোটি টাকা দিতে হত রাজ্য সরকারকে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধির কারণে অক্ষয় তৃতীয়ায় সরকারি বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি।


রাজ্যের সামাজিক ন্যায় বিভাগের অনুমান ছিল, এ বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় ২৫ হাজার জুড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেন। এমনিতে মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ-নিকাহ যোজনায় অর্থ ২৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে প্রতি নব দম্পতি পিছু ৫১ হাজার টাকা করে গিয়েছে কমলনাথ সরকার। এর ওপর বিয়ের সংখ্যাও বেড়েছে।  ২০১৮-তে সরকারি বিবাহ সম্মেলনগুলিতে ২৬ হাজার বিয়ে হয়েছিল। অর্থ বরাদ্দ বাড়ায় এই সংখ্যা ২০১৯-এ হয়েছিল ৪২ হাজারের বেশি।

এবার লকডাউনের কারণে অক্ষয় তৃতীয়ায় বিয়ে পিছিয়ে গিয়ে সরকারের খানিক সুরাহা হয়েছে বটে। কিন্তু সমস্যা বাড়ুবে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বিয়ের পাঁচটি দিন রয়েছে। এখন যে বিয়েগুলি পিছিয়ে গিয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগই ওই দিনগুলিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাত্, একসঙ্গে অনের বিবাহ হবে।

সদ্যপ্রাক্তন কমলনাথ সরকারের বিবাহ-নিকাহ যোজনার ১৬০ কোটি টাকার বোঝা এখন বর্তমান সরকারের কাঁধে। কমলনাথের আমলে ৪২ হাজারের বেশি বিয়ে হয়েছিল। এরমধ্যে ৩০ হাজার নবদমম্পতিকে এখনও পর্যন্ত আর্থিক উত্সাহ দেওয়া হয়নি।