লখনউ: অযোধ্যায় মন্দির তৈরির ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্যের সাম্প্রতিক মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। মৌর্য্য বলেছেন, অন্য কোনও রাস্তা না থাকলে যদি দরকার হয়, তাহলে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে, সংসদের উভয় কক্ষেই যখন যথেষ্ট শক্তি থাকবে, কেন্দ্র তখন আইন আনার পথে এগবে বলে আমি পূর্ণ আশাবাদী। বিল আনা ছাড়া আর কোনও উপায় না থাকলে সেই অবস্থায় সংসদের দুটি কক্ষেই পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকলে এটা কেন্দ্র মাথায় রাখবে, এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। এখন সংসদে আমাদের যথেষ্ট শক্তি নেই। লোকসভায় বিষয়টি তোলা গেলেও রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় শক্তি না থাকায় উদ্যোগটা নিশ্চিত ভাবেই মার খাবে। ভগবান রামের প্রত্যেক ভক্ত এটা জানে। আদালত শীঘ্রই রায় দেবে। কিন্তু যেদিন আমাদের শক্তি আসবে, নিশ্চয়ই তার অপপ্রয়োগ হবে না, ইতিবাচক পথেই তা কাজে লাগানো হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টির শুনানি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাজকীয় রামমন্দির তৈরি হলে সেটাই হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রয়াত শীর্ষনেতা অশোক সিংঘল, অযোধ্যার রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রাক্তন প্রধান মহন্ত শ্রী রামচন্দ্র দাস পরমহংস ও প্রাণ বলিদান দেওয়া করসেবকদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, মন্তব্য করেন মৌর্য্য।


পাল্টা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির প্রশ্ন, সু্প্রিম কোর্টে ইস্যুটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কী করে এমন মন্তব্য করা যায়। তিনি বলেন, বিজেপি যে জমি হারাচ্ছে, এটা তার সুস্পষ্ট লক্ষণ। কী করে একজন দায়িত্বশীল উপমুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের গাজোয়ারি কথা বললেন? সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিবেচনাধীন, মন্ত্রীর এমন ভাষায় কথা বলার কোনও অধিকার নেই। সংবিধানের কোন ধারায় এ ব্যাপারে আইন তৈরি করা যায় যখন সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া রয়েছে বিষয়টি?
কেরল ও দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যে যখন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় হিমসিম খাচ্ছে, সেসময় এমন মন্তব্য করায়ও মৌর্য্যের সমালোচনা করেন ওয়েইসি।



তফসিলি জাতি ও উপজাতি (দমনপীড়ন রোধ) সংশোধন বিলে বিজেপির শক্ত ভোটব্যাঙ্ক বলে যাদের ধরা হয়, তারা কি চটে যাবে, প্রশ্ন করা মৌর্য্য বলেন, সরকারের ওই বিল আনার উদ্দেশ্য কাউকে হেনস্থা করা নয়। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি বলতে পারি, এখানে কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু হবে না, কাউকে অকারণে হেনস্থা করা হবে না। কিন্তু তফসিলিদের প্রতি অন্যায় করে রেহাই মিলবে না।
তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে গ্রেফতারি এড়ানোর কিছু রক্ষাকবচ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশ খারিজ করতে আনা কেন্দ্রের একটি বিল গত ৯ আগস্ট ধ্বনিভোটে অনুমোদিত হয় রাজ্যসভায়। বিলটি লোকসভায় গৃহীত হয় ৬ আগস্ট।