Independence Day 2021 Live: বড়সড় সংস্কারের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছার, বললেন মোদি
75th Independence Day 2021 Celebration Live Updates:আজ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। করোনা আবহে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে দিনটি।
এতদিন সৈনিক স্কুলে পড়তে পারতেন সেনাকর্মীদের মেয়েরাই। এবার থেকে সৈনিক স্কুলের দরজা খুলল সব মেয়েদের জন্য। লালকেল্লার ভাষণে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।
দিল্লিতে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে স্বাধীনতার ৭৫ তম দিবস উদযাপন। অনুষ্ঠানে ছিলেন সনিয়া গান্ধী।
দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। সামিল সেনা জওয়ানরা। লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আইটিবিপি জওয়ানরা। জম্মু ও অনন্তনাগেও জওয়ানরা পতাকা উত্তোলন করেন।
মোদি বলেছেন, স্বাধীনতার ১০০ বছরের আগে ভারতে শক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার অঙ্গীকার করতে হবে। রেলওয়েতে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকরণের কাজ চলছে, যাতে ২০৩০-এৎ মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্য করা যায়।
বড়সড় পরিবর্তন, বড় সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। বর্তমানে বিশ্ব দেখতে পেয়েছে যে, ভারতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই। সংস্কারের জন্য প্রয়োজন ভালো ও চৌকশ সুশাসন। ভারত এখন সুশাসনের নয়া অধ্যায় রচনা করেছে, বিশ্ব তা প্রত্যক্ষ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিষেবা যাতে নির্বিঘ্নে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই লক্ষ্য সরকারের। দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে মানুষের জীবনে প্রক্রিয়াগত ও অপ্রয়োজনীয় সরকারি হস্তক্ষেপের অবসান প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর আগে সরকার চালকের আসনে বসত। ওই সময় হয়ত তা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় আইন ও প্রক্রিয়ার জটিলতা থেকে লোকজনকে রেহাই দিতে গত সাত বছরে প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের যে জেলাগুলিকে অনগ্রসর মনে করা হয়, সরকার তাদের আশাআকাঙ্খার সঞ্চার করেছে। দেশের ১০০-র বেশি উচ্চাকাঙ্খী জেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সড়ক, রোজগার সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই জেলাগুলির অনেকগুলিই আদিবাসী অধ্যুষিত।
ভবিষ্যতের ভারতে অকারণে নাগরিকদের জীবনে হস্তক্ষেপ না করাই লক্ষ্য হবে সরকারের। লালকেল্লার ভাষণে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গতি শক্তি স্থানীয় উৎপাদকের আন্তর্জাতিক স্তরে লড়াইয়ের যোগ্য করে তুলতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে নতুন ভবিষ্যথ আর্থিক অঞ্চলের সম্ভাবনার উন্নয়ন করবে। এই প্রকল্প তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের ৭৫ সপ্তাহে ৭৫ টি বন্দেভারত ট্রেন দেশের প্রতিটি প্রান্তকে যুক্ত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা পিএম গতি শক্তি প্ল্যান চালু করতে চলেছি। ১০০ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় পরিকাঠামো মাস্টার প্ল্যান এই পিএম গতি শক্তি প্রকল্প। দেশের সামগ্রিক পরিকাঠামোর ভিত্তি গঠন এবং দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রূপ দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরবর্তী-প্রজন্মের পরিকাঠামোর জন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বিশ্বমানের উৎপাদন পরিকাঠামো। তিনি আরও বলেছেন, ছোট কৃষকরা যাতে দেশের গর্ব হয়ে ওঠেন, সেটাই আমাদের মন্ত্র হতে হবে। এখন দেশের ৭০ টি রেল রুটে চলে কিষাণ রেল।
মোদি বলেছেন, আগামী বছরগুলিতে দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্মিলিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাঁদের নতুন সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। তাঁরা অবশ্যই দেশের গর্ব হয়ে উঠবেন।
মোদি বলেছেন, আজ দেশের গ্রামগুলির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। গত কয়েক বছরে রাস্তা, বিদ্যুতের মতো সুবিধা গ্রামগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে। এখন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক গ্রামগুলি তথ্যের ক্ষমতা দিচ্ছে এবং সেখানে ইন্টারনেট পৌঁছে যাচ্ছে। গ্রামগুলিতেও ডিজিটাল উদ্যোগ প্রস্তুত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন কমিশন গঠিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ সহ হিমালয় অঞ্চল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা ও আদিবাসী এলাকায় ভারতের ভবিষ্যত উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একবিংশ শতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে ভারতকে সক্ষমতার সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। সমাজের যে অংশ পিছিয়ে রয়েছে এবং যে এলাকা অনুন্নত, তাদের হাত ধরতে হবে।
মোদি বলেছেন, গত সাত বছরে যে সব প্রকল্প শুরু হয়েছে, সেগুলির সুবিধা দরিদ্রদের দোরগড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। উজ্জ্বলা থেকে শুরু করে আয়ুষ্মান ভারত, দরিদ্ররা এই প্রকল্পের ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন। এখন সরকারের প্রকল্পগুলি গতি পেয়েছে এবং লক্ষ্য পৌঁছতে পারছে।
ভারত দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়ে তোলার রূপকার সর্দার বল্লভভাই পটেল, দেশকে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শনকারী বি আর অম্বেডকরের মতো ব্যক্তিদের স্মরণ করছে। দেশ তাঁদের কাছে ঋণী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেক দেশেরই উন্নয়নের যাত্রা পথে এমন একটা সময় আসে যখন নিজেদের যাত্রার সংজ্ঞা নির্ধারিত হয় এবং নতুন সংকল্পের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সেই সময় এসেছে। আমাদের লক্ষ্য পূরণে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে বিশ্বে সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান চলছে ভারতে। ৫৪ কোটির বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার ডোজ পেয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় দেশের লডাইয়ের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেছেন, ভারতীয়রা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসীম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন। আমাদের সামনে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা খুব ভালো কাজ করেছি। আমাদের শিল্পপতি ও বিজ্ঞানীদের ক্ষমতার ফলশ্রুতিতে ভারতকে আজ ভ্যাকসিনের জন্য অন্য কোনও দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছে, টোকিও অলিম্পিক্সে যাঁরা আমাদের গর্বিত করেছেন, তাঁরা এখানে রয়েছেন। তাঁদের সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে আমি দেশবাসীকে আর্জি জানাচ্ছি। তাঁর আমাদের শুধু হৃদয়ই জেতেননি, ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ১৪ অগাস্টক বিভাজন বিভীষিকা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশভাগের সময় দেশবাসীকে যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তাঁদের প্রতি সম্মান জানাতে এই দিবস পালন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী করোনা অতিমারী মোকাবিলায় চিকিৎসক ও নার্সদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিক্যাল কর্মী, সাফাই কর্মীরা করোনার মোকাবিলায় দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁদের কর্তব্যনিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়েছেন। এছাড়াও আরও কোটি কোটি নাগরিক সেবার মনোভাব নিয়ে যে কাজ করেছেন, তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব দেশে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করবে বলে আশা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লালকেল্লায় উপস্থিত অলিম্পিয়ানরা
লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার।
লালকেল্লায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
রাজঘাটে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাত্মা গাঁধীর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদি পৌঁছবেন রাজঘাটে। লালকেল্লায় পৌঁছবেন সকাল ৭.১৮ টায়। সাড়ে সাতটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন তিনি। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সকাল ৭.৩২ টা থেকে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: আজ ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। করোনা আবহে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। সকাল ৭টায় রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে পতাকা উত্তোলনে সাহায্য করবেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার পি প্রিয়ম্বদা সাহু।
এই প্রথমবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে পুষ্পবৃষ্টি করবে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। এদিন দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লালকেল্লা থেকে অষ্টমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে গার্ড অফ অনার। উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবে ভারতীয় নৌবাহিনী।
অনুষ্ঠানে থাকবেন টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদকজয়ী নীরজ চোপড়া-সহ ৩২ জন ক্রীড়াবিদ। করোনাজয়ীদের জন্য থাকছে বিশেষ এনক্লোজার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -