নয়াদিল্লি: দেশের প্রায় ১৫০ জেলায় কোভিড-১৯ পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের বেশি। স্বাভাবিকভাবেই করোনা মহামারী এই জেলাগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ বাড়াচ্ছে। ফলে এই জেলাগুলিতে জারি হতে পারে লকডাউন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই জেলাগুলিতে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক উচ্চ পজিটিভিটির হার যুক্ত এই জেলাগুলিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।


সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই এই পদক্ষেপের প্রয়োজন


এক পদস্থ আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, আমাদের বিশ্লেষণ থেকে জানা গিয়েছে যে, উচ্চ পজিটিভিটি হার যে জেলাগুলিতে রয়েছে, সেখানে আগামী কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনের মতো বিধি ব্যবস্থা প্রয়োজন।


দেশে দৈনিক পজিটিভিটির হার ২০ শতাংশ


ভারতে গত এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক ৩ লক্ষের বেশি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসছে। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩.২৩ লক্ষ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। সেখানে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪৮,৭০০। এর পরেই ছিল উত্তরপ্রদেশ। সেখানে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৩৩,৫৫১, কর্ণাটকে এই সংখ্যা ছিল ২৯,৭৪৪। কেরলের মতো কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্যেও রেকর্ড সংক্রমণের খবর এসেছে। ভারতে দৈনিক পজিটিভিটির হার এখন ২০ শতাংশের মতো।


 দেশের মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্তর ৬৯ শতাংশ আট রাজ্যে


দেশে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা মার্চের মাঝামাঝি থেকে বাড়ছে। সোমবার অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮.৮ লক্ষ। আট রাজ্য মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিসগড় ও তামিলনাড়ুতে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা দেশের ৬৯ শতাংশ। এই রাজ্যগুলির প্রত্যেকটিতেই ১ লক্ষের বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে।


পজিটিভিটি হার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপ বাড়াচ্ছে


স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই পজিটিভিটি হার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পজিটিভিটির এই উচ্চহার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিকূল প্রভাব ফেলছে। সোমবার করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা ছিল ২,৭৭১। এর মধ্যে ১০ রাজ্যে ৭৭.৩ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় স্থানে ছিল দিল্লি। সেখানে ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।