এই প্রথম, বৃহস্পতিবার অসমে বেআইনি বসবাসকারী সাত রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে পাঠিয়ে দেবে ভারত
Web Desk, ABP Ananda | 03 Oct 2018 06:29 PM (IST)
Bangladesh Myanmar Attacks
নয়াদিল্লি: অসমে বেআইনিভাবে বসবাসকারী সাত রোহিঙ্গাকে বৃহস্পতিবার মায়ানমারে ফেরত্ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানালেন কেন্দ্রের অফিসাররা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক শীর্ষকর্তা আজ জানান, মনিপুরে মোরে সীমান্ত চৌকিতে মায়ানমার সরকারের অফিসারদের হাতে ওই সাতজনকে তুলে দেওয়া হবে। মায়ানমার থেকে এদেশে ঢোকা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে বাস্তবে এই প্রথম সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ২০১২ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে বেআইনি ভাবে এদেশে আসা সাত রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে অসমের শিলচরে ডিটেনশন সেন্টারে। মায়ানমারের কনস্যুলেটের কূটনীতিকদের তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করা হয়। কূটনীতিকরা ওই সাত রোহিঙ্গার পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তারা মায়ানমারের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আরেক কর্তা বলেন, মায়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে ওই রোহিঙ্গাদের ঠিকানা খতিয়ে দেখার পরও নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওরা মায়ানমারেরই নাগরিক। ভারত সরকার গত বছর সংসদে জানায়, ভারতে ১৪০০০-এর বেশি রোহিঙ্গা আছে যাদের নাম রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু এজেন্সিতে নথিভুক্ত রয়েছে। যদিও ত্রাণ সরবরাহকারী এজেন্সিগুলির অনুমান, এ দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রাণ বাঁচাতে গত বছর দলে দলে রোহিঙ্গা দেশত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের গোটা দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বলে জানিয়েছে। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীর অভিযোগ, রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক, ভয়াবহ সন্ত্রাস সত্ত্বেও ‘বালিতে মুখ গুঁজে রয়েছেন’ মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর আউন সান সু কি, মায়ানমার সরকার।