টুইটারে ছবিগুলি প্রকাশ করেছে সেনার জনসংযোগ বিভাগ। তাতে বলা হয়েছে, ৯ তারিখ সেনার মাউন্টেনিয়ারিং এক্সিপিডিশন টিম নেপাল-চিন সীমান্তের মাকালু বেস ক্যাম্পের পাশে এই রহস্যময় পায়ের ছাপ দেখতে পায়। এই পায়ের মাপ ৩২X১৫ ইঞ্চি। মাকালুর বরুণ জাতীয় উদ্যানে এর আগেও ইয়েতির দেখা মিলেছে বলে শোনা গিয়েছে।
সেনা যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বরফের ওপর বিশাল বিশাল পায়ের ছাপ। সেই ছাপ একটি প্রাণীরই, তা সোজা এগিয়েছে। একই দূরত্ব রেখে বেশ কিছুটা তফাতে পড়েছে এক একটা ছাপ, বরফের ওপর গভীর চিহ্ন তৈরি করে।
পাহাড়িরা বলেন, ইয়েতিকে দেখতে বিশাল গোরিলার মত, সে থাকে হিমালয়ে, রহস্যের খাসমহল হিমালয়ের সে সবথেকে রহস্যময় বাসিন্দা। তার দেখা মেলে পাহাড়িদের লোককথায়, মানুষের চোখে পড়লেই নাকি অদৃশ্য হয়ে যায় সে। বানর জাতীয় প্রাণী হিসেবে সেও মানুষের পূর্বপুরুষ। ১৮৩২ সালে প্রথমবার এক পর্বতারোহী উত্তর নেপালের পর্বতে দুপায়ে হেঁটে চলা এই প্রাণীকে দেখতে পান বলে দাবি করেন। তখন থেকে বহুবার শোনা গিয়েছে ইয়েতির অস্তিত্বের কথা কিন্তু সে ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ এই প্রথম পাওয়া গেল। এবার বৈজ্ঞানিকরা ভারতীয় সেনার এই দাবি খতিয়ে দেখবেন। ইয়েতি সম্পর্কিত যাবতীয় ছবি ও ভিডিও শিগগিরই প্রকাশ্যে আনবে সেনা।