চেন্নাই: সীমান্তে সন্ত্রাস, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা পাওয়া ইস্তক, দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা। কিন্তু তা যে মনুষ্যত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, তা আবারও প্রমাণ করে দিলেন এক ভারতীয়।


গত মাসের ঘটনা। ওড়িশার গোপালপুরে নোঙর করতে যাচ্ছিল পাক বাণিজ্য জাহাজ এমভি হায়কাল। মাঝ সমুদ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হন পাক জাহাজের ক্যাপ্টেন বদর হাসনাইন।একেবারে জীবন-মরণ সমস্যা। ষাটের কাছাকাছি বয়স। তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সার ব্যবস্থা না করতে পারলে জীবনহানিও ঘটতে পারত তাঁর। পরিত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়ালেন ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা।

পাক জাহাজের ক্যাপ্টেন অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পাঠানো হয় চেন্নাইয়ের বন্দরে। তাঁদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড'স মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার জাহাজটিকে বিশাখাপত্তনমে ভিড়তে বলে। সেখানেই পাইলট বোটে করে ক্যাপ্টেনকে নামানো হয় ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।



১৩ জুলাইয়ের ঘটনা। তারপর কেটে গেছে মাসাধিক কাল। প্রতিবেশী দেশ ভারতই তাঁকে সুস্থ করে তুলেছে। এখন তিনি অনেকটাই ভাল। এখন তিনি তাঁর স্বদেশে ফেরার অপেক্ষায়। ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে তিনি পাকিস্তানে ফিরবেন।



এএনআই সূত্রে খবর, ক্যাপ্টেন হাসনাইনের মেয়ে ও তাঁর পরিবারের অন্যান্যরাও ভারত সরকারের মানবিক উদ্যোগ ও চিকিত্সকদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। বিপদের সময় পাশে না দাঁড়ালে, আর একচুল এদিক-ওদিক হলেই ঘটে যেতে পারত যে কোনও দুর্ঘটনা।