নয়ডা: গৌতমবুদ্ধ নগরে নয়ডা কর্তৃপক্ষ কুকুর পোষা নিয়ে তৈরি করেছে নয়া নীতি। এই নীতি অনুযায়ী, কুকুর পুষতে গেলে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। রেজিস্ট্রেশন ফি পোষ্য পিছু পাঁচশো। প্রতি বছরই রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করতে হবে। তা না করালে মালিকদের দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা।
এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হতে পারে পোষ্য কুকুর রেজিস্ট্রেশন স্কিম। এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে রূপায়ন করতে নয়ডা কর্তৃপক্ষ এজেন্সি নির্বাচনের কাজও শুরু করে দিয়েছে। আসলে এজেন্সি জেলায় সমস্ত পোষা কুকুরদের সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করবে এবং সময় মতো ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে কিনা ,তাও সুনিশ্চিত করবে।
এজেন্সি পোষা কুকুরদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে রাখতে এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার দিকেও নজর রাখবে। সেই সঙ্গে এ সব ব্যাপারে পর্যবেক্ষণের জন্য পোষা কুকুরদের গলায় একটি বার কোড-যুক্ত আইডেন্টিটি কার্ড বেঁধে রাখতে হবে, যাতে থাকবে একটি চিপ। এরফলে পোষা কুকুরদের চিহ্নিতকরণ সহজ হবে।
সম্প্রতি নয়ডা কর্তৃপক্ষের বোর্ডের বৈঠকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বোর্ডের বিশেষ কার্যাধিকারী ইন্দু প্রকাশ সিংহ বলেছেন, নয়ডা কর্তৃপক্ষের সীমার মধ্যে যত পোষা কুকুর রয়েছে, সেগুলিকর প্রতিটিকে ৫০০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। সেইসঙ্গে রাখতে হবে কুকুর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য। এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে পোষা কুকুরদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও চালাবে।
সিংহ বলেছেন, রেজিস্ট্রেশনের পর কুকুরদের গলায় একটি চিপ পরানো হবে। এতে কেউ যদি কোনও পোষা কুকুর সম্পর্কে অভিযোগ জানান, তাহলে ওই চিপের মাধ্যমে এজেন্সি সংশ্লিষ্ট কুকুর সম্পর্কে সহজেই তথ্য জানতে পারবে। মানুষের সুবিধার্থে এই পরিকল্পনা। সেইসঙ্গে জেলায় কত পোষা কুকুর রয়েছে ও কতগুলি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে, সে বিষয়েও তথ্য জানা যাবে।
উল্লেখ্য, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কুকুরের বয়স হয়ে গেলে, মালিক তাকে ছেড়ে দেয়। কেউ কেউ তো কুকুরদের আক্রমণাত্মক প্রশিক্ষণও দেয়। এ কারণে অনেক সময়ই কুকুরে কামড়ানোর অভিযোগ আসে। এই পরিকল্পনা এ ধরনের অভিযোগে লাগাম টানার সঙ্গে পোষা কুকুর সংক্রান্ত সমস্যার সহজেই সমাধান করা যেতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।