নয়াদিল্লি: করোনার টিকা আবিষ্কার হবে কবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিশ্বজুড়ে। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা গবেষণায় মগ্ন। তবে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো গোটা বিশ্বের জন্য করোনার প্রতিষেধক উৎপন্ন করতে পারে বলে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মাইক্রোসফট কর্তা বিল গেটস।

গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিল গেটস বলেছিলেন, করোনা সংকটের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলা হোক বা ভ্যাকসিনের গবেষণা, সব ক্ষেত্রেই ভাল কাজ করছে ভারত। কোভিড মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা নিয়ে তৈরি ‘কোভিড-১৯: ইন্ডিয়া’স ওয়ার এগেনস্ট দ্য ভাইরাস’ ডকুমেন্টারিতে বিল গেটস বলেছেন, “অতিমারীর মোকাবিলা করা ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এত বড় দেশ, তার এত বিপুল জনসংখ্যার মাঝে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো সহজ ব্যাপার নয়। সেই কাজ দক্ষতার সঙ্গেই করেছে এবং করার চেষ্টা করছে ভারত।”

গেটসের মতে, ভ্যাকসিন তৈরিতে খুব ভাল কাজ করছে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল ও বায়োটেকনোলজি সংস্থাগুলো। ভারতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরি হয়, বিশ্বের কোনও দেশে তেমনটা হয় না। ভারত ই, ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া, জাইদাস ক্যাডিলা খুব ভাল কাজ করছে। গেটস বলেছেন, “আমি অভিভূত যে, ভারত শুধু নিজের কথাই ভাবছে না। সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। এইভাবে সংহতির পথে চললেই অতিমারী ঠেকানো সম্ভব হবে।’

কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করছে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বিল গেটস বলেছেন, ‘কোটি কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ চাই। বিশ্বের পিছিয়ে পড়া, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনভাবে বিশ্বের সব দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে হবে যাতে গরিব ও প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা মানুষগুলো আগে সুবিধা পায়।’