নয়াদিল্লি: ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল ভারতীয় রেল। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যাত্রাকালে যাত্রীদের রাত ১১ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত ট্রেনে মোবাইল চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। মঙ্গলবার রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন।



পশ্চিম রেল নিয়েছে এই পদক্ষেপ


পশ্চিম রেল ১৬ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত সময়ে এই চার্জিং পোর্টগুলিতে ওই নির্ধারিত সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার কাজ শুরু করেছে। পশ্চিম রেলের প্রধান জন সংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) সুমিত ঠাকুর সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে, এ ব্যাপারে রেল বোর্ডের সমস্ত জোনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। আমরা ১৬ মার্চ থেকে তা চালু করে দিয়েছি।


আগেও এ ধরনের সুপারিশ হয়েছে


দক্ষিণ রেলের সিপিআরও গুগনেসন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এটা নতুন কোনও নির্দেশ নয়। বরং এর মাধ্যমে রেল বোর্ড পুরানো নির্দেশরই পুণরায় উল্লেখ করেছে। ১০১৪-তে ব্যাঙ্গালোর-হজুর সাহিব নান্দেড় এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঠিক পরেই রেলওয়ের সুরক্ষা কমিটি  রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চার্জি পোর্ট বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল।রেলওয়ে বোর্ড শেষপর্যন্ত সমস্ত সমস্ত জোনের জন্যই এই নির্দেশ জারি করেছে।


সম্প্রতি দেহরাদূণ-গামী শতাব্দী এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন ধরে গিয়েছিল। শর্ট সার্কিট থেকেই গত ১৩ মার্চ এই ঘটনা ঘটে বলে সন্দেহ। এর ছয়দিন পর রাঁচি স্টেশনে একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ইঞ্জিনে আগুন লেগে গিয়েছিল। 
এরইমধ্যে জ্বলনশীল পদার্থ বহন ও ধূমপান আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। চলন্ত ট্রেনে সাম্প্রতিক কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডে এগুলিও কারণ হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। রেলযাত্রী ও কর্মী সহ সংশ্লিষ্ট সকলপক্ষকে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি নিয়ে সচেতন করতে রেল জোনগুলিকে  সাতদিনের প্রচার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গুগনেসন আরও বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। এর আগেও রেল বোর্ড এ ধরনের নির্দেশ জারি করেছিল। ওই পয়েন্টগুলিতে প্রধান সুইচবোর্ড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে।