নয়াদিল্লি: ভারতীয় রেলে শূন্যপদ ১.৪ লক্ষ। এবার এই শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিল রেল। তিনটি পর্যায়ে এই শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। আজ থেকে শুরু হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া।


এ মাসের ১১ তারিখ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন শহরের ২.৪৪ কোটিরও বেশি চাকরিপ্রার্থী। প্রথম পর্যায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। এরপর তৃতীয় পর্যায়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা আগামী বছরের এপ্রিল থেকে। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলার কথা রয়েছে।’

রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড সূত্রে খবর, করোনা আবহে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা, বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন দু’টি শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সব চাকরিপ্রার্থীই যাতে তাঁদের নিজেদের রাজ্যেই পরীক্ষা দিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীরা একরাতের যাত্রা করেই পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন। মহিলা ও পিডব্লুডি প্রার্থীদের নিজেদের রাজ্যেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যেহেতু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পরীক্ষার্থীরা আসছেন, তাই কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চাকরিপ্রার্থীরা যাতে সহজে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে দূরত্ববিধি বজায় রেখে এবং নিরাপদে পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের অনুরোধ করা হয়েছে।’

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যদি কোনও পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তাঁদের পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর ও ই-মেল আইডি-তে পরবর্তী পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। এই ধরনের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দ্রুত নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষার্থীদের নিজেদের ফেসমাস্কই ব্যবহার করতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট মর্মে ঘোষণাপত্র দিতে হবে, তাঁরা করোনা আক্রান্ত নন। এটা ছাড়া কাউকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। প্রতি শিফটের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরীক্ষা হল স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

রেলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির জারি করা করোনা সতর্কতা মেনে চলা হচ্ছে।