নয়াদিল্লি: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ডাক দিয়েছেন। লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য চিনা পণ্য বয়কটের পক্ষে সওয়াল শুরু করেছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে চিনা পণ্য বয়কটের জন্য দেশজুড়ে প্রচার চালানোর কথা ঘোষণা করল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)। এই সংগঠনের সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল ও জাতীয় সভাপতি বি সি ভারতীয়ার দাবি, ‘চিন বরাবরই ভারতের বিরোধী। আমরা গত চার বছর ধরে চিনা পণ্য বয়কট করার পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই প্রচারের ফলে চিন থেকে পণ্য আমদানি কমেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের, সেটা এখন কমে হয়েছে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।’

সিএআইটি-র আওতায় রয়েছেন সাত কোটি ব্যবসায়ী ও ৪০,০০০ বাণিজ্যিক সংগঠন। খান্ডেলওয়াল ও ভারতীয়া জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল থেকে ‘ভারতীয় পণ্য-আমাদের দাম’ শীর্ষক প্রচার শুরু হবে। ২০২১-এর ডিসেম্বরের মধ্যে চিন থেকে আমদানি ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আমরা ৩,০০০ পণ্য চিহ্নিত করেছি যেগুলি চিন থেকে আনার বদলে ভারতেই বিকল্প পাওয়া যায়। ভারতের ক্রেতাদেরও সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না, কারণ সেই পণ্যগুলি ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে রয়েছে।’

সিএআইটি কর্তারা আরও জানিয়েছেন, ‘২০০১ সালে চিন থেকে পণ্য আমদানি করার পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাই ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সংখ্যাটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, চিন কীভাবে ভারতের বাজার দখল করেছে। ভারতের বাজার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ। ভারতের খুচরো বাজারের উপর চিনের দখলদারি নিয়ে সব রাজ্যের নেতারাই গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন।’

সিএআইটি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ীদের চিনা পণ্য বয়কট করার বিষয়টি বোঝানোর জন্য ২৫ মার্চ থেকে নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিজ মোহনের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।