নয়াদিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ৬১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে! ৯৬ হাজার পেরিয়েছে মৃত্যু! দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু কমলেও এই নিরিখে বিশ্বে এক নম্বরেই রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আরও উদ্বেগজনক রিপোর্ট সামনে নিয়ে এল আইসিএমআর। দ্বিতীয় সেরো সার্ভের রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হল, আগামী দিনে আরও বিপুল সংখ্যক ভারতবাসী করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।
আইসিএমআর-এর দ্বিতীয় সেরো সার্ভের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬. ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত। এরকম প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জন করোনায় সংক্রমিত। দ্বিতীয় সেরো সার্ভের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেশি। শহরের মধ্যে ঝুপড়ি এলাকায় ১৫. ৬ শতাংশ এবং অন্য এলাকায় ৮. ২ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, ১৭ অগাস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের ২১টি রাজ্যের ৭০টি জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ২৯ হাজার ৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেসোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই সুস্থ হয়ে ওঠার পর ফের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এবার আইসিএমআর-এর সেরোসার্ভের রিপোর্টেও মিলল সেই ইঙ্গিত। যদিও পরিস্থিতি সামাল নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ T-এর উপরই জোর দিতে বলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তা হল, টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রেস,ট্রিট এবং টেকনোলজি।
এরই মধ্যে বিশ্বের প্রথম সারির মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ সতর্কতার সুরে বলা হয়েছে ,অতিরিক্ত আশাবাদী পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বড় বিপদে পড়ে যেতে পারে ভারত।...আশাবাদ ভাল। সাফল্য নিয়ে পিঠ চাপড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতের বর্তমান অবস্থাকে খুব বেশি ইতিবাচক তথ্য দিয়ে তুলে ধরার অর্থ বাস্তবতাকে আড়াল করা, তা জনস্বাস্থ্যের উপর জোরালো প্রভাব ফেলবে। করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। সাধারণ মানুষও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাববেন না।’