ইন্দৌর: কিশোরী কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণ করার অপরাধে ৩৮ বছরের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ইন্দৌরের জেলা আদালত। বাবার পাশবিক অত্যাচারের ফলে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ১৪ বছরের ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যার জেরে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয় সে। পরে, এক সন্তান প্রসব করে ওই কিশোরী।
বুধবাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বর্ষা শর্মা। এদিন শাস্তির মেয়াদ ঘোষণা করে দোষীকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনান তিনি। আদালত জানিয়েছে, সাধারণত সমাজের সবধরনের সমস্যা থেকে কিশোরী কন্যাকে রক্ষা করাটাই বাবার কাজ। কিন্তু, এখানে বাবা নিজের কন্যাকে ধর্ষণ করে সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। যে সময় তার খেলার কথা, সেই সময় নির্যাতিতা সন্তান প্রসব করেছে। এই বয়সে তার প্রাণের আশঙ্কাও ঘটতে পারত। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি দোষী ব্যক্তির ৫০ হাজার টাকা নগদ জরিমানাও ধার্য করেন বিচারক। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই টাকা পাবে নির্যাতিতা।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কিশোরী পেটের যন্ত্রণা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে জানা যায় সে অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতার প্রাণের আশঙ্কা হতে পারে বলে চিকিৎসকরা গর্ভপাতে রাজি হননি।
কিন্তু, কেন বাবার এই নারকীয় অত্যাচারের কথা সে বাড়িতে জানায়নি? আদালতে নির্যাতিতা জানায়, তার মায়ের রক্তচাপ অত্যন্ত কম। ফলে, তার ভয় ছিল, এই কথা জানতে পারলে, হয়ত মায়ের স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতো।