নয়াদিল্লি: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় পি চিদম্বরমের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব খারিজ করল দিল্লির আদালত। ২১ আগস্ট তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
চিদম্বরম বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে আছেন। আবেদন নাকচ হওয়ায় ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে তাঁকে থাকতে হবে। তাঁর তিহার জেল থেকে বেরনোর প্রয়াস ধাক্কা খেল।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতার আইনজীবী কপিল সিবল আবেদন পেশ করে বলেছিলেন, চিদম্বরম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান। বৃহস্পতিবার ইডি আদালতে বলে, চিদম্বরমকে গ্রেফতার করা দরকার এবং সঠিক সময়েই তারা সেই পদক্ষেপ করবে। আদালত রায়দান স্থগিত রাখে চিদম্বরমের আবেদনের ওপর।
ইডি-র তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা চিদম্বরমের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, আমরা এই মামলার ব্যাপারে ৬ জনকে সমন পাঠিয়েছি। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৬ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার যাতে অভিযুক্ত চিদম্বরমকে সামনাসামনি জেরা করা যায়। উনি (চিদম্বরম) ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন, ফলে তথ্যপ্রমাণ বিকৃত বা নষ্ট করতে পারবেন না। সময়মতো তাঁকে গ্রেফতার করা হবে কেননা তারপর তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে মাত্র ১৫ দিন হাতে পাবে ইডি। মেহতা আরও সওয়াল করেন, চিদম্বরমের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব মানতে হলে এরপর প্রতিটি অভিযুক্ত আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করতে চাইবেন। অভিযু্ক্ত কখনই তাঁর গ্রেফতারির দিন ঠিক করে দিতে পারেন না বলেও জানান তিনি। তবে ইডি-র বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিবল আদালতে বলেন, চিদম্বরমের ধরা দেওয়ার অধিকার আছে, ইডি যেসব যুক্তি দিয়েছে, সবই পরে কী হতে পারে, সেই সংক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, এটা খারাপ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আমায় (চিদম্বরম) শাস্তি, কষ্ট দেওয়াই এর লক্ষ্য। অভিযুক্তের সবসময়ই আদালতে ধরা দেওয়ার অধিকার থাকে। কেউই, এমনকী সরকারপক্ষও তা ঠেকাতে পারে না। সিবল আরও সওয়াল করেন, ইডি গত ২০ ও ২১ আগস্ট চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে চাইলেও পরে মত বদলায়। তিনি আরও বলেন, চিদম্বরম বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকুন, এটাই ইডি চায়। তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা যতটা পারে দীর্ঘায়িত করতে চায় তারা।
আইএনএক্স মিডিয়া গোষ্ঠীকে ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ প্রমোশন বোর্ডের (এফআইপিবি) প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মঞ্জুর করায় দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭-র মে মাসে সিবিআই এফআইআর দায়ের করে। সেসময় চিদম্বরম ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। পরে এ ব্যাপারে একটি বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলা দায়ের করে ইডি।