মুম্বই: মন্ত্রিসভার সহকর্মী বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। #মি টু প্রচারের সূত্র ধরে বেশ কয়েকজন মহিলা সাংবাদিক আকবরের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের দাবি, আকবর দুটি সংবাদপত্রের সম্পাদক থাকাকালে তাঁদের যৌন হেনস্থা করেছিলেন।
আজ এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই এসব নিয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন। ওনার প্রাক্তন মহিলা সহকর্মীদের পাশে থাকায় মিডিয়ার প্রশংসা করছি। কিন্তু আমি মনে করি, সংশ্লিষ্ট মানুষটিরই বিবৃতি দেওয়ার কথা, আমার নয়, কেননা আমি সেখানে ছিলাম না।
প্রসঙ্গত, বিদেশ সফরে থাকা আকবর এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এখনও।
নানা পেশার যে মহিলারা অতীতে যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগে সরব হচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা না করার জন্য আবেদন করেছেন স্মৃতি। বলেছেন, আমি বারবার এই নির্দিষ্ট বিষয়ে, বিশেষত, মহিলাদের মুখ খোলা নিয়ে বলেছি যে, যিনিই, সরব হোন না কেন, তাঁকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ, অপমান করা যাবে না। যাঁরা ইন্টারনেটে ও তার বাইরে মহিলাদের আবেগ, ক্রোধ উগরে দেওয়ার এই প্রবণতা দেখছেন, তাঁদের কাছে আমার একমাত্র আবেদন এটাই। মেয়েরা কাজ করতে আসেন হেনস্থা, হয়রানি নয়, স্বপ্নপূরণ করে সম্মানজনক জীবন যাপনের জন্য। আমি বলব, মেয়েদের পক্ষে সাহস সঞ্চয় করে পেশাগত জীবনে কী ঘটেছে, প্রকাশ্যে বলা খুবই কঠিন কাজ। মহিলারা মুখ খুলতে পারার জন্য আরও বেশি সমর্থন পাবেন, এটা আমাদের সমাজে অত্যন্ত জরুরি। আমার মনে হয়, ন্যয়বিচার দেওয়ার জন্য আমাদের আইন ও পুলিশি ব্যবস্থায় যথেষ্ট রাস্তা আছে। আমি আশাবাদী, বৈধ প্রক্রিয়ার ফলে এই মুখ খোলা মহিলারা কাঙ্খিত ন্যয়বিচার পাবেন।
বিদেশমন্ত্রকে আকবরের মাথার ওপর থাকা সুষমা স্বরাজ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদও এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেননি। একমাত্র কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গাঁধী #মি টু প্রসঙ্গে বলেছেন, ক্ষমতার অধিকারী পুরুষরা প্রায়ই এটা করেন। মিডিয়া, রাজনীতি বা কোম্পানির সিনিয়র পদাধিকারী, সব ক্ষেত্রেই কথাটা খাটে।
সিপিএম আকবরের পদত্যাগ চেয়েছে। এক বিবৃতিতে বলেছে, সাত মহিলা সাংবাদিক নিজেদের যৌন হেনস্থার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে আকবরের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। যেহেতু আকবরের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে, তাঁর কেন্দ্রের একজন প্রতিমন্ত্রী পদে থাকাটা কাম্য নয়। এখনই ওনার পদত্যাগ করা উচিত।