চণ্ডীগড়:  পঞ্জাবের জলন্ধরে তিন কাশ্মীরী পড়ুয়াকে কলেজ হোস্টেল থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিন পড়ুয়ার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। জলন্ধরে ওই তিন পড়ুয়ার হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে, দাবি পুলিশের।


পঞ্জাবের ডিরেক্টর জেনারেল সুরেশ আরোরা জানিয়েছেন, ওই তিন কাশ্মীরী পড়ুয়া জঙ্গি সংগঠন আনসার গাজওয়াট-উল-হিন্দের হয়ে কাজ করে। ওই সংগঠনই জয়েশে-র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জঙ্গি সন্দেহে ওই তিন পড়ুয়াকে জলন্ধরের শাহপুরের সি.টি ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির হোস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশ এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এসওজি-র যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার তিন পড়ুয়া।

গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে একজনের নাম জাহিদ গুলজার। সে বি-টেকের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া, শ্রীনগরের রাজপোরার বাসিন্দা। তাকে পুলওয়ামার দুজন বাসিন্দা মহম্মদ ইদ্রিস শাহ এবং ইউসুফ রফিক ভট্টের সঙ্গে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে কিছু জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপে নজরদারি চালিয়েই এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সদর জলন্ধর থানায় ওই তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভাঙতে, এখন পঞ্জাব পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে, জানিয়েছেন পঞ্জাবের ডিজিপি। মূলত পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এদেশের মাটিতে নিজেদের ঘাঁটি আরও শক্ত করতেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের কাজের ব্যপ্তি আরও বাড়াচ্ছে।

সম্প্রতি সেই সূত্রেই সোপিয়ানের এক বাসিন্দা গাজি আহমেদ মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গাজি, পাটিয়ালায় পলিটেকনিক পড়ত। এই গাজি আবার, জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশাল পুলিশ অফিসার আদিল বাশির শেখের খুব ঘনিষ্ঠ। এই আদিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে পিডিএ-র এক বিধায়কের বাড়ি থেকে সাতটি রাইফেল চুরি করে পালায়। শোনা গিয়েছে, ওই এসপিও হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছেন। যদিও সে খবর এখনও নিশ্চিত নয়, দাবি অপর এক সূত্রের। গাজিকে আপাতত জম্মু কাশ্মীর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।