নয়াদিল্লি: এ বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পরেও যদি কেউ রিফান্ড না পেয়ে থাকেন, তাহলে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আবেদন জানাতে হবে। আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে এমনই জানানো হয়েছে। আয়কর বিভাগের বক্তব্য, প্রযুক্তিগত উন্নতি করা হচ্ছে। তার ফলেই কোনও কোনও ক্ষেত্রে রিফান্ড পেতে দেরি হচ্ছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি ১৮ লক্ষ করদাতাকে ১,৫০,৮৬৩ কোটি টাকা রিফান্ড দেওয়া হয়েছে। ১১,৬০৭,২৯৯টি ক্ষেত্রে ৪৭,৬০৮ কোটি টাকা রিফান্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২,০১,৭৯৬টি ক্ষেত্রে ১,০৩,২৫৫ কোটি টাকার কর্পোরেট কর রিফান্ড হিসেবে দেওয়া হয়েছে।’

আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত করদাতাদের রিফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এবার দেরি হচ্ছে। বিশেষ করে আইটিআর ১ ও আইটিআর ৪-এর ক্ষেত্রেই রিফান্ড বিলম্বিত হচ্ছে। রিফান্ডের প্রক্রিয়ায় সাধারণত এক সপ্তাহ সময় লাগছে। ‘ঝটপট রিফান্ড স্কিম’-এর আওতায় এই রিফান্ড দেওয়া হচ্ছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক, কয়েকমাস আগে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সত্ত্বেও রিফান্ড না পেয়ে থাকলে কীভাবে আবেদন জানাতে হবে-

  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে করদাতারা রিফান্ড পাওয়ার অধিকারী। পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যে করদাতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিফান্ড ঢুকে যাওয়ার কথা।

  • তবে আয়কর রিটার্নের সময় যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আয়কর বিভাগের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হতে পারে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ই-মেল পাঠিয়ে অসঙ্গতির বিষয়ে জানতে চায়। সংশ্লিষ্ট করদাতা যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে সংশয় দূর করবেন, তত তাড়াতাড়ি রিফান্ড পাওয়া যাবে।

  • যদি কোনও করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ভুল দেন, তাহলেও রিফান্ড পেতে দেরি হতে পারে। সেক্ষেত্রেও ই-মেল করে এ বিষয়ে জানতে চায় আয়কর বিভাগ। অনলাইনে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন করা যায়।


আয়কর রিফান্ডের প্রক্রিয়া কোন স্তরে রয়েছে, সেটা কীভাবে জানা যায়, দেখে নেওয়া যাক-

  • আয়কর বিভাগের পোর্টাল বা ন্যাশনাল সিকিওরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেডের (এনএসডিএল) ওয়েবসাইটে রিফান্ডের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।

  • আয়কর বিভাগের পোর্টালে ইউজার আইডি হিসেবে প্যান দিতে হবে। পাসওয়ার্ডও ঠিক করতে হবে।

  • লগ ইন করার পর ভিউ ই-ফাইলড রিটার্নস বা ফর্মস বিভাগে গিয়ে রিফান্ডের স্টেটাস দেখা যাবে।

  • যে বছরের আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য দেখতে চাইছেন, সেই বছরটি বেছে নিতে হবে।

  • এরপর ‘মাই রিটার্ন’ পেজ খুলে যাবে। সেই পেজেই আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।

  • ‘স্টেটাস’ মেনুতে মোড অফ পেমেন্ট, রিফান্ডের অর্থ, রিফান্ডের তারিখ সহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।

  • এছাড়া এনএসডিএল-এর ওয়েবসাইটেও আয়কর রিফান্ড সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

  • প্যান দিয়ে লগ ইন করে সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষ বেছে নিয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।