নয়াদিল্লি: তিন তালাক বিল প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা অরুণ জেটলির। মোদি সরকারের মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বেরিলির ‘নিকাহ-হালালা’র মতো ঘটনা, যা দেশের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে, অসাংবিধানিক বলে গণ্য হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, বেরিলির এক মহিলাকে দুবার ডিভোর্স দিয়েছেন তাঁর স্বামী। ফলে ইসলামি আইন অনুযায়ী তাঁকে প্রথমে নিকাহ হালালা করতে হয় শ্বশুরের সঙ্গে, পরে ভাসুরের সঙ্গে। নিকাহ হালালা প্রথায় একজন মুসলিম পুরুষ নিজের প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারেন না, তিনি আরেক পুরুষকে বিয়ে করে তার থেকে ডিভোর্স নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় আলাদা থাকা পর্যন্ত। ওই আলাদা থাকার সময়টুকুকে ‘ইদ্দত’ বলা হয়ে থাকে।


জেটলি ওই ঘটনার উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হল, সকালের খবরের কাগজে এ খবর দেখে যখন আমাদের বিবেকের দংশন হয়, তখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, তাঁর পারিষদরা এক সংখ্যালঘু কনভেনশনে সংসদে আটকে থাকা তিন তালাককে অপরাধের তকমা দেওয়া বিল তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বেরিলির ‘নিকাহ হালালা’ আপনাদের বিবেকে ধাক্কা মারেনি?’ শিরোনামে লেখা পোস্টে জেটলি বলেছেন, প্রয়াত রাজীব গাঁধী সুপ্রিম কোর্টের শাহবানু মামলার রায় উল্টে দিয়ে পর্বতপ্রমাণ ভুল করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সব মুসলিম মহিলার ভরনপোষণের গ্যারান্টি সুনিশ্চিত হয়েছিল। রাজীব গাঁধীর সিদ্ধান্ত স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের বিপন্ন করে গরিবির পাঁকে ফেলে দেয়। ৩২ বছর বাদে তাঁর ছেলে আরেকটি পিছিয়ে দেওয়া পদক্ষেপ করলেন যা তাঁদের শুধু বিপন্নই করবে না, এমন এক পরিস্থিতিতে ঠেলে দেবে যা মানুষ পরিচয়, অস্তিত্বেরই বিপরীত। বেরিলির মুসলিম মহিলাটিকে পশুর জীবন মেনে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
জেটলি কটাক্ষ করেছেন, ভোট যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই জরুরি ন্যয়। রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা শুধু পরদিনের হেডলাইন হতে চান, দেশনির্মাতারা ভাবেন পরবর্তী শতকের কথা।