কিন্তু লন্ডন যাত্রার মুখে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের মাল্যের দাবি উড়িয়ে জেটলি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, মাল্যের বক্তব্য তথ্যের দিক থেকে মিথ্যা, সত্যের লেশমাত্র নেই এতে। ২০১৪-য় মন্ত্রী হওয়ার পর কখনও মাল্যকে সাক্ষাতের সময় দিইনি, দেখা করার প্রশ্নই ওঠে না। গত ৪-৫ বছরে মাল্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি বলে দাবি করেন জেটলি। মাল্য রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার সুবাদে কখনও সখনও সংসদে আসতেন। একবার সেই সুযোগের অপব্যবহার করে আমি সংসদ থেকে বেরিয়ে মন্ত্রকের ঘরে যাওয়ার সময় জোরকদমে এগিয়ে আমার কাছে এসে বলেন, আমি রফা করে নিতে চাই। ওঁর আগের ধোঁকাবাজির অফার সম্পর্কে জানতাম। তাই ওঁকে আর কথা বাড়ানোর সুযোগ না দিয়ে বলি, আমার সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই, ব্যাঙ্কে যান। মাল্যর হাতে যেসব কাগজপত্র ধরা ছিল, সেগুলি পর্যন্ত তিনি গ্রহণ করেননি বলে জানান জেটলি।
তবে কংগ্রেস মাল্যের দাবিকে অস্ত্র করে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, মাল্য, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো লোকজনের দেশত্যাগের ব্যাপারে সরকার সব জানত। ওদের চলে যেতে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেন, মাল্যের আজকের বক্তব্যে তাঁদের অভিযোগই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে বলতে হবে, কীভাবে ও কেন মাল্যকে ভারত ছাড়তে দেওয়া হল। ব্যাঙ্কের দেনা মেটানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কতবার দেখা করেছেন, ব্রিটেনে আজ মাল্য পরিষ্কার জানিয়েছেন। সরকার এবার বলুক, কী হয়েছিল সেইসব বৈঠকে। দেশবাসী সব জানতে চায়।
কংগ্রেস নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডলে বলেছে, বিজয় মাল্য পালানোর আগে আপস রফার প্ল্যান নিয়ে কথা বলতে অর্থমন্ত্রী জেটলির সঙ্গে একাধিক বার দেখা করেন। তা সত্ত্বেও বিজেপি সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ বাকি রেখে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ দেয়। এই সরকারটা যে পছন্দের স্নেহভাজন পুঁজিপতিদের পকেটে রয়েছে, তার এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কি চাই!