লকেট আরও লিখেছেন, বলিউডের একটা অংশ পচা দাঁতের মতো। এটা তুলে না ফেললে সর্বাঙ্গে পচন ধরবে। জয়াকে আক্রমণ করে লকেটের বক্তব্য সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে যখন বলিউডের মাফিয়ারাজের বলি হতে হয়, কোথায় ছিলেন তিনি?’ জয়ার এই আচরণ ‘দ্বিচারিতা’ ছাড়া আর কী!
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথমদিনই বিজেপি সাংসদ রবি কিষণ সরব হন বলিউডের ড্রাগ-যোগ নিয়ে। রবি কিষণ বলেন, সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে যে ড্রাগ অ্যাঙ্গেল উঠে এসেছে, তা নিয়ে ভাল কাজ করছে এনসিবি। তিনি বলেন, দেশের তরুণদের ক্ষতি করার জন্য এটা পাকিস্তান ও চিনের মিলিত ষড়যন্ত্র। এটা রুখতেই হবে। তাই তিনি সরকারকে অনুরোধ জানান, অপরাধীদের যেন কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।
গোরক্ষপুরের সাংসদের এই মন্তব্যের পরদিনই রাজ্যসভায় গর্জে ওঠেন জয়া বচ্চন। তিনি বলেন, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। এখান থেকে অনেক মানুষের রুজি রুটি আসে। সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় প্রথম সারিতে বিনোদন জগতের মানুষরা থাকেন। সেখানে কেউ কেউ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম বদনাম করার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাম না করেই জয়া বলেন, দেশের ধুঁকে পড়া অর্থনীতি ও বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতেই এই বলিউডির মাদক-যোগ নিয়ে অনেকে কথা বলছেন।
এই বক্তব্যের পর বলিউডের একাংশ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জয়া বচ্চনের। এই তালিকায় আছেন, তাপসী পান্নু, দিয়া মির্জা, জেনেলিয়া ডিসুজা, অনুভব সিনহার মতো ব্যক্তিত্বরা।