মুম্বই: শনিবার সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের নানা স্তরের মানুষ। ‘লৌহমানব’ খ্যাতি পাওয়া বল্লভ ভাইয়ের দেশের ঐক্য়, সংহতির প্রশ্নে ভাবনাচিন্তাকে সম্মান জানিয়ে তৈরি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ হয়ে উঠেছে আজকের দিনটির তাত্পর্য্যের দ্য়োতক। দিনটি পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় সংহতি দিবস’ হিসাবে। দেশের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানানো বিশিষ্ট লোকজনের মধ্য়ে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ট্যুইটে উল্লেখ করেছেন, সর্দার পটেল প্রধানমন্ত্রী পদটা জওহরলাল নেহরুকে ছেড়ে দিয়ে ‘ত্য়াগ স্বীকার করেছিলেন’, এটা ‘দুঃখজনক’। ‘ক্য়ুইন’ অভিনেত্রীর অভিমত, সর্দার পটেল প্রধানমন্ত্রী পদের সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি, নির্বাচিত লোক হওয়া সত্ত্বেও স্রেফ মহাত্মা গাঁধীকে খুশি করতে সেই দাবি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেননা গাঁধীর ধারণায় ‘নেহরু আরও ভাল ইংরেজি বলতে পারতেন’। সেইসঙ্গে কঙ্গনার সংযোজন, এতে সর্দার পটেলের নয়, দেশের কয়েক দশকের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আমাদেরও লজ্জা, দ্বিধা ঝেড়ে যেটা আমাদের হকের পাওনা, সেটা ছিনিয়ে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মহাত্মা গাঁধীকে নিশানা করে কঙ্গনা বলেন, গাঁধী নেহরুর মতো দুর্বল চিত্তের লোককে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিলেন যাতে তাঁকে সামনে খাড়া করে আড়াল থেকে তিনিই দেশ চালাতে পারেন। পটেলই ‘ভারতের প্রকৃত লৌহমানব’ বলেও মন্তব্য করেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, ‘ছকটা ভালই’ ছিল, কিন্তু গাঁধী হত্যাকাণ্ডের পর তা ‘বিরাট বিপর্যয়ে’ পরিণত হয়।
সর্দার পটেলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কঙ্গনা আরও লেখেন, ‘তিনিই সেই মানুষ যিনি আমাদের আজকের অখন্ড ভারত দিয়েছেন’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদটি ছেড়ে দিয়ে নিজের ‘মহান নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা’কে যেভাবে তিনি পিছনে ঠেলে দিলেন, তা ‘দুঃখজনক’, বলেন কঙ্গনা।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে সর্দার পটেল, জওহরলাল নেহরু,দুজনেই ছিলেন। কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও পটেলকেই চেয়েছিল। কিন্তু গাঁধী তাঁকে সরে যেতে বললে তিনি মুখ বুজে তা পালন করেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেই নিজের মতামত দিয়েছেন ‘তনু ওয়েডস মনু’-র অভিনেত্রী।
এদিন স্ট্যাচু অব ইউনিটি-তে গিয়ে প্রয়াত পটেলকে শ্রদ্ধা জানান ২ দিনের গুজরাত সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদি।