আঙ্কারা: গতকাল তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭। ভূমিকম্পে সেদেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জনের। আহত কমপক্ষে ৭০৯ জন। যদিও অন্য একটি সূত্রে খবর, অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। গতকালের ভূমিকম্পের পর আজও ১৯৬ বার আফটার শকের খবর মিলেছে। যার মধ্যে ২৩টির কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৪-এরও  বেশি ছিল। তুরস্কের পাশাপাশি পড়শি গ্রিসেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। সেখানে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।


গতকাল গ্রিস ও তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। গ্রিসের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকটি দ্বীপের বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়েছেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কম্পনের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ১৭টি ভবন ভেঙে পড়েছে। সেখানে উদ্ধারকার্য চলছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর তুরস্কের উপকূলবর্তী শহর ইজমিরে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন লোকজন। ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে। মধ্য ইজমিরে একটি বহুতলের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ছবি সামনে এসেছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে।

তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, ইজমিরের বেয়ারাকলি ও বোরনোভা জেলায় ছয়টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উসাক, ডেনিজলি, মনিসা, এডেন, মুগলার মতো সংলগ্ন প্রদেশগুলিত সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, সেগুলিতে লোকজনকে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আটকদের বের করে আনার চেষ্টা চালাতে দেখা গিয়েছে।

গ্রিসের সমগ্র পূর্ব উপকূলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। গ্রীসের রাজধানী এথেন্সেও কম্পন অনুভূত হয়। গ্রিসের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সামোস ও অন্যান্য দ্বীপের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সেইসঙ্গে পাথর গড়িয়ে পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।