নয়াদিল্লি: ভাবুন তো, বিশাল একটা প্লেন উড়ছে, ভিতরে আপনি একাই যাত্রী,  কোনও সহযাত্রী নেই! জেনেশুনে কি এরকম বিমানযাত্রা করবেন? নিশ্চয়ই করবেন না। কিন্তু আগে থেকে না জেনে এমনই বিমান সফর করতে হল কেরলের এক ব্যক্তিকে। গত ১৪ জুন ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে সিঙ্গাপুরের এক ফ্লাইটে একাই সফর করলেন প্রতাপ পিল্লাই  নামে আলাপ্পুঝার এক ভদ্রলোককে। তিনিই ছিলেন একমাত্র যাত্রী! সৌজন্যে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি যেখানে এরকম নানা অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কাউকে না কাউকে।

মেরিটাইম ইন্ডাস্ট্রি অর্থাত নৌ-ব্যবসায় যুক্ত পিল্লাই লকডাউনের আগে কর্মসূত্রে সিঙ্গাপুর  থেকে জার্মানির হ্যামবার্গ গিয়েছিলেন। আচমকা ঘোষিত লকডাউনে সেখানে তিনমাস আটকে পড়েন। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ভারত সরকার বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ঘরে ফেরাতে যে বন্দে ভারত বিমান পরিষেবা চালু করে, তাতে কোনও বিমান ধরে জুনের গোড়ায় পিল্লাই ভারতে ফিরতে পারলেন চাইলে। তবে সমস্যা হয়, বন্দে ভারত ফ্লাইট ছিল নয়াদিল্লি পর্যন্ত, কিন্তু তিনি ফিরতে চাইছিলেন আলাপ্পুঝাতেই যেখানে তাঁর ডাক্তার স্ত্রী থাকেন কর্মসূত্রে। আবার বন্দে ভারত বিমানে দিল্লি নেমে সেখান থেকে আলাপ্পুঝা যাওয়ার ইচ্ছেও তাঁর ছিল না তাতে নানা সমস্যা, ঝুঁকি থাকতে পারে ভেবে। অতঃপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে সিঙ্গাপুরেই ফিরবেন রেগুলার ফ্লাইট ধরে। সেই বিমানে ঢুকেই তিনি বড় চমকটা পেলেন। বিমানে পা দিয়েই টের পেলেন, আর কেউই নেই, তিনি একাই যাত্রী। সম্ভবত বাকি সকলেই নিজেদের বুক করা টিকিট বাতিল করেছিলেন। কিন্তু তখন তো কিছু করার নেই। বাধ্য হয়েই পিল্লাই আসনে বসে পড়লেন। তবে হ্য়াঁ, আর একজনও প্যাসেঞ্জার না থাকলেও বিমানে ছিলেন ১০ জন ক্রু।

পরে পিল্লাই বলেছেন, একটা কোনওদিন না ভোলার মতো অভিজ্ঞতা হল।  কার্যত পুরো ফাঁকা বিমানে সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়েও তাঁকে কোনও উদ্বেগে থাকতে হয়নি।