কলকাতা: কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডের ভোট গণনা শুরু হতেই প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৩টিতে এগিয়ে তৃণমূল। এই আবহে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানালেন বাংলার মা-মাটি-মানুষকে। তৃণমূল সুপ্রিমোও এও জানান যে মানুষের এই রায়ের পর মাথা নত করে কাজ করে যাবে ঘাসফুল শিবির। 


কী বলেছেন মমতা? 


"আমি সকল মা মাটি মানুষদের, আমার ভাই বোনদের অভিনন্দন জানাই, এই নির্বাচন হয়েছে উৎসবের মত করে। গণতন্ত্রের জয়। এটাই আশা ছিল। আমরা মা মাটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আরও মাথা নত করে আমরা কাজ করে যাব। কলকাতা আমাদের গর্ব। কলকাতাই সারা দেশকে পথ দেখিয়ে গর্বের দিকে নিয়ে যাবে। এই রায়ই আমাদের সাহায্য করবে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে। মানুষের জন্যই আরও বেশি করে কাজ করে যাব।" 



এখনও জয়ের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ভোটের ট্রেন্ডের প্রাথমিক ফল প্রকাশ হতেই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল সুপ্রিমো। টুইটে সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। মমতা লেখেন, "কলকাতা পুরনির্বাচনে আপনাদের সকলের বজয়ের জন্য সকল প্রার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরম অধ্যবসায় এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে হবে, এটা মনে রাখবেন। রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ আমাদের ওপর তাদের বিশ্বাস রাখার জন্য। কলকাতা পুরসভার বাসিন্দাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।" 



ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরভোটে স্বস্তির বার্তা তৃণমূলের অন্দরে। আর এই ট্রেন্ডে সাধারণ মানুষকেই শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমক কটাক্ষ করলেন। এদিন কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপি ভোকাট্টা বাই দ্য পিপল, সিপিএম নো পাত্তা বাই দ্য পিপল। 


নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছে। ১১ থেকে ১৬ রাউন্ডে গণনা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ৭-১০টি টেবলে গণনা। ভোট গণনার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার। 


প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি ১৪৪ ধারা। গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন মোট ৩ হাজার পুলিশকর্মী। প্রতি কেন্দ্রেই মোতায়েন একাধিক ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। রয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড এবং রিজার্ভ পুলিশ। নজরদারি চলছে ড্রোনের মাধ্যমেও। বিজয় মিছিল নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।