পাশাপাশি নিম্ন আদালতের যে ট্রানজিট রিম্যান্ডের নির্দেশকে, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ওঠার আগে নওলাখা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তাও খারিজ করেছে হাইকোর্ট। নওলাখাকে আটক রাখার মেয়াদ ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়, বলেছে আদালত।
বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিচারপতি বিনোদ গোয়েলের বেঞ্চ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের ২৮ আগস্টের আদেশকে খারিজ করেছে। ওই আদেশে নওলাখার ট্রানজিট রিম্যান্ডের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, এক্ষেত্রে সংবিধানের মৌলিক বিধি ও ফৌজদারি দণ্ডবিধি, যা বাধ্যতামূলক, মানা হয়নি। নিম্ন আদালতের আদেশ আইনের বিধিতে ধোঁপে টেকে না বলে অভিমত বেঞ্চের। আদালত বলেছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৬ ধারা ও ৫৭ ধারা মতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের রিমান্ড অর্ডার না থাকায় আবেদনকারীকে আটক রাখার মেয়াদ ২৪ ঘন্টার বেশি হয়ে গিয়েছে, যা আইন অনুমোদন করে না। সেইমতো পিটিশনারের গৃহবন্দি দশাও এখন শেষ হল।
যদিও একইসঙ্গে হাইকোর্ট এটাও স্পষ্ট বলেছে, আজকের নির্দেশে মহারাষ্ট্র সরকারকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে নিবৃত্ত করা হচ্ছে না।
মহারাষ্ট্র সরকারের কৌঁসুলি সুপ্রিম কোর্টও ৪ সপ্তাহ বাড়িয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে নওলাখাকে আরও ২দিন গৃহবন্দি রাখার পক্ষে সওয়াল করলে বেঞ্চ জানায়, উনি এটা মাথায় রাখছেন না যে, শীর্ষ আদালতই তার রায়ে ওনাকে যথাযথ আইনি সুরাহা চাওয়ার অধিকার দিয়েছে।
নওলাখার তরফে তাঁর গ্রেফতারি ও ট্রানজিট রিমান্ডের আদেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশ করা পিটিশনে সম্মতি দেয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর হওয়া এলগার পরিষদ সম্মেলনের পর দায়ের হওয়া এফআইআরের জেরে গত ২৮ আগস্ট দিল্লি সহ দেশের নানা শহরে নওলাখা সমেত ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করে। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, তাঁরা মহারাষ্ট্রের কোরেগাঁও-ভিমায় অশান্তি, হিংসা ছড়িয়েছিলেন।