কলকাতা: দলে আরও গুরু দায়িত্ব নুসরত জাহান রুহির। প্রথমে সাংসদ হওয়া। তারপর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা করে নেওয়া। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে দলীয় মুখপাত্রের পদেও এলেন তৃণমূলের নায়িকা সাংসদ। বন্ধু মিমি চক্রবর্তী, সতীর্থ সাংসদ দেব এবং তৃণমূল যুবনেতা তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর মতো নুসরতকেও দলের রাজ্য কমিটিতে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে রাজ্য স্তরের মুখপাত্রদের তালিকাতেও রাখা হল বসিরহাটের সাসংদকে। উল্লেখযোগ্যভাবে রূপোলী পর্দার আর কোনও প্রতিনিধিকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।


এখন অনেকেরই প্রশ্ন, কেন নুসরত জাহানকেই দলে এত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে? ওয়াকিবহল মহলের মতে, নুসরতের দলে গুরুত্ব পাওয়ার পিছনে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহৎ রাজনৈতিক স্বার্থ। মহিলা মুখ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে বিপুল জনপ্রিয়তা। নুসরত এই তিন ক্ষেত্রেই মিমি এবং দেবকে টেক্কা দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রী সাংসদের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে, তিনি ধরেননি।


তাছাড়াও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তাঁর দলে যে ত্রিস্তরীয় কাঠামো তৈরি করেছেন তাতেও নবীন-প্রবীনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেছেন সব ধরনের সম্প্রদায়ের। ৭ সদস্যের কোর কমিটিতে যেমন রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, তেমনই রয়েছেন শান্তা ছেত্রী। এরপর ২১ সদস্যের সমন্বয় কমিটিতেও রয়েছে একই ধরনের সামঞ্জস্য। তারপর ৫৮ জনের যে কমিটি তৈরি হয়েছে সেখানেও মহিলাদের অগ্রাধিকার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও অনগ্রসর জাতি ও আদিবাসীদের রেখে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি সবাইকে নিয়েই চলবেন। শুধু দল গঠনই নয়, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও এই একই ধরনের সামঞ্জস্য রেখেছিলেন তিনি।


মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় ও রাজ্য স্তরের মুখাপত্রের তালিকা। সেখানে জাতীয় স্তরের মুখপাত্রদের তালিকায় রয়েছেন অমিত মিত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদি, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, নাদিম উল হক, শশী পাঁজা সহ মোট ১২ জন।



 



রাজ্য স্তরে রাখা হয়েছে ২২ জনকে। তারমধ্যে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহাদের মতো যেমন নবীন মুখ রয়েছে, তেমনই রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, শান্তনু সেন, নির্বেদ রায়, ওমপ্রকাশ মিশ্র, দীনেশ বজাজ, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নামও। উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘ দূরত্বের পর দলে ফের গুরুত্ব পাচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। এমনকি ‘মুকুল ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল বিধায়ক শিলভদ্র দত্তকেও দলীয় মুখপাত্রের জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।